

শনিবার ● ২২ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » ছাতকে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুনীতি লুটপাটের ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলছে
ছাতকে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুনীতি লুটপাটের ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলছে
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতকে চরমহল্লা ইউপির আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তফা আহমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ঘটনার তদন্তের সত্যতার প্রমানিত মিলছে। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের ফাকিবাজ প্রধান শিক্ষক ধরা পড়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ঘটনাটি বিভিন্নখাতে নেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা বোডসহ বিভিন্ন দপ্তরে তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক । গত ৭ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী বরাবরে গ্রামের সিরাজুল হক,শিক্ষাথী আদদান সানী,মইন উদ্দিন ও শিউলী বেগম বাদী হয়ে পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ অভিযোগের ঘটনায় তিন সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গত ১৯ নভেম্বর সরেজমিনে তদন্ত কার্ষত্রুম শুরু করেন। গত ১০ ডিসেম্বর পরবতীতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যদের প্রয়োজনীয় জিঞ্জাসাবাদ করেন এবং কিছু প্রমানাদি সংগ্রহ করেছেন তদন্ত কমিটি।
জানা যায়, উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয়ে অগ্রনী ব্যাংক অ্যাকাউন্ডের স্টেটমেন্ট দেখা গেছে ২০১৫ সাল১৫ সেপ্টেম্বর ও ২০২৪ সালে ৩০জুন ১০লাখ ৭১হাজার ৩০টাকা জমা হয়। বিভিন্ন সময়ে ৮লাখ ৬হাজার ৩৩টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক। ব্যাংকের আছে মাত্র এক লাখ টাকা।২০২৪ সালে ২০২৩ ও ২৪ অর্থবছরের অডিট কমিটি গঠন হয়। ৪ সদস্য অডিট কমিটি হিসাবে প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আহমদ বিরুদ্ধে ২ লাখ ৬০ হাজার ২০৩টাকা পাওনা আছে বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ভর্তি ফিসের টাকা আদায় করে এসব টাকার হিসাব খাতা জমা না দিয়ে প্রধান শিক্ষক তার নিজ পকেটে চলে গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন পন্তায় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সিকিউরিটি নামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায়স বিভিন্ন খাতের প্রায় ১৫ লাখ টাকা হিসাবের গড়মিল রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর থাকলে রেজুলেশনসহ অন্যান্য স্বাক্ষরের সঙ্গে তার স্বাক্ষরের মিল নেই।
তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করার পর বিদ্যালয় আয় ব্যায় হিসাব না দিয়ে সাবেক এমপিkমুহিবুর রহমান মানিকের আত্নীয় পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হামলা মামলা ভয়ভীতি দেখান।সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত রয়েছে। বিদ্যালয় হাজিরা না দিয়ে মাসের পর বেতন ভাতা উত্তোলন করেছে। এসব ঘটনায় গত ২ মাচ প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আহমদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম দুনীতি ,শৃংখলা পরিপন্তি ও দায়িত্বে অবহেলার সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে উল্লেখ্য করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোড সিলেটে প্রেরন করেছে উপজেলার নিবাহী কর্মকতা মোঃ তরিকুল ইসলাম।
এব্যাপারে মোঃ তরিকুল ইসলাম এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার সম্পৃক্ততার ঘটনার সত্যতা প্রমান মিলছে।
বিষয়: #এক শিক্ষকের #ঘটনার #ছাতকে #দুনীতি #প্রমাণ #বিরুদ্ধে #মিলছে #লুটপাটের #সত্যতার