

রবিবার ● ৩০ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছুটিতেও সেবা দিতে প্রস্তুত ঢাকার হাসপাতালগুলো
ছুটিতেও সেবা দিতে প্রস্তুত ঢাকার হাসপাতালগুলো
বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::
ঈদে দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটিতে দেশ। ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি চলবে সব সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। লম্বা এই ছুটিতে কীভাবে চলবে হাসপাতালগুলো? কেমন হবে সেবা কার্যক্রম? বিশেষত, ঢাকার বাসিন্দারা ঈদের ছুটিতে জরুরি রোগীদের নিয়ে কোথায় যাবেন, কোথায় গেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাবেন, এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই দুশ্চিন্তা থাকতে পারে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলো সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
ঈদ ঘিরে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। হাসপাতালগুলোতেও রোগীর জটলাও কিছুটা কম। তবে জরুরি বিভাগের অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের ঈদ করতে হবে হাসপাতালেই। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ এই ছুটিতেও তারা হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল রাখছেন। বিশেষ করে জরুরি বিভাগ, ওটি ও ইনডোরে নিয়মিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা সেবা দেবেন।
চিকিৎসাসেবায় মানুষের সবচেয়ে বেশি ভরসার জায়গা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে দৈনিক এক হাজার জনবল কর্মরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বেশিরভাগ জরুরি বিভাগের রোগী আসে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। ছুটির মধ্যে প্রতিদিন ১৫০ জন ডাক্তার, ৫০০ নার্স ও অন্য কর্মচারীরা মিলে এক হাজারের বেশি জনবল নিয়োজিত থাকবে। আমরা প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহও নিশ্চিত করেছি।’
প্রতি বছরই ঈদ কিংবা যে কোনো উৎসব ঘিরে যাত্রাপথে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাদের বেশিরভাগ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে। ঈদের ছুটিতে এ ধরনের রোগীদের জন্য ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতাল- জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেও প্রতিদিন ১৫ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকবেন।
হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক আবুল কেনান বলেন, ‘আমাদের জরুরি টিম রেডি করা আছে। ওটিগুলো প্রস্তুত রেখেছি। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিদিনকার রোস্টার করে দিয়েছি। প্রতিদিন ১৫ জন করে চিকিৎসক ডিউটিতে থাকবেন। এর বাইরে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্যও পৃথক চিকিৎসক টিম রেখেছি।’
রাজধানীর পিজি হাসপাতাল নামে খ্যাত বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা থাকবে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব কার্যক্রমের সেবাও চলবে যথারীতি। রোগীদের সুবিধার্থে ২ এপ্রিল খোলা থাকবে বহির্বিভাগ। ঈদের পর ৫ এপ্রিল থেকে প্রচলিত নিয়মে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো।
তিনি আরও জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে ২৮, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১, ৩ ও ৪ এপ্রিল। এর মধ্যে পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে ২৮ মার্চ (শুক্রবার) এবং সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) বহির্বিভাগ বন্ধ। বন্ধের দিনগুলোতে ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস, অফিস, বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেশন সার্ভিস বন্ধ থাকবে।
রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। ছুটিতেও আমাদের জরুরি বিভাগসহ ইনডোর চলবে। আজকে (শনিবার) আউটডোর খোলা ছিল, আগামীকালও (রোববার) খোলা থাকবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সব যথারীতি ঠিক থাকবে।’
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ডের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, কিডনি হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল ও শিশু হাসপাতাল সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি ও ইনডোর সার্ভিস চালু থাকবে। ছুটির দিনেও বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা কার্যক্রম চালু রাখবে হাসপাতালগুলো।
বিষয়: #ছুটিতেও #ঢাকার #দিতে #প্রস্তুত #সেবা #হাসপাতালগুলো
