মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বেনজীরের সম্পদের পরিমাণ নিয়ে হতবাক হাইকোর্ট
বেনজীরের সম্পদের পরিমাণ নিয়ে হতবাক হাইকোর্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আইজিপি বেনজীর আহমেদের আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন? আমাদের বিষয়টি হতবাক করেছে।
১১ জুন, মঙ্গলবার যশোরে স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকটি সেতু নির্মাণে অনিয়মের শুনানিকালে বিচারপতি কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ সাবেক পুলিশপ্রধানের কর্মকাণ্ড নিয়ে এই মন্তব্য করেন।
রিটকারী আইনজীবী শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী শামসুল হক বলেন, খুব দুর্ভাগ্যজনক পুলিশ প্রধান যিনি এবং অত্যন্ত ব্রিলিয়ান্ট ছেলে বেনজীর, কোর্ট বললেন। এরকম মেধাসম্পন্ন ছেলে যখন সম্পদের পাহাড় গড়তে থাকে, তখন দেশ কিভাবে টিকবে?
শুনানিকালে আদালত বলেন, আপনাদের অনিয়মের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। দেশ-বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে একজন সরকারি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি। একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন। এটি আমাদের বিস্মিত করেছে।
গত ২৯ মে যশোরের পাঁচটি নদীর ওপর আটটি সেতু নির্মাণে অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুসারে যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রাখার বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
এ জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধি এবং যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ১১ জুন আদালতে হাজিরে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই হিসাবে আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) তারা হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
আটটি সেতু হচ্ছে- যশোর সদর উপজেলার ভৈরব নদীতে ছাতিয়ানতলা সেতু, রাজারহাট সেতু ও দাইতলা সেতু; অভয়নগর উপজেলার টেকা নদীতে টেকা সেতু; মণিরামপুর উপজেলার মুক্তেশ্বরী নদীতে হাজরাইল সেতু ও শ্রী নদীতে নেহালপুর সেতু এবং শার্শা উপজেলার বেতনা নদীতে কাজীরবের থেকে ইসলামপুর মোড় আরসিসি গার্ডার সেতু ও শেয়ালঘানা গাতিপাড়া আরসিসি গার্ডার সেতু।
এর আগে যশোরে কম উচ্চতার ১১ সেতুতে ‘নদী হত্যা’ শিরোনামে গত বছরের জুনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ গত বছর রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুসারে সেতু নির্মাণে যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা রাখতে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চার বিবাদীর প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়।
বিষয়: #বেনজীর