বুধবার ● ১২ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঈদুল আজহায় ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের ২২ নির্দেশনা
ঈদুল আজহায় ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের ২২ নির্দেশনা
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ছুটিতে ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় গমন করবেন নগরবাসী। এসময় ট্রাফিক শৃঙ্খলা ও যানজট এড়াতে ২২ দফা ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
১২ জুন, বুধবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
ঈদে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়াতে সবার সহযোগিতা চেয়েছে ডিএমপি। ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা নিচে দেয়া হলো:
১. ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা টার্মিনালের বাইরে কোনো বাস সড়কে রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভিতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসন গ্রহণ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
২. ঢাকা মহানগরীতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাড়াবে না।
৩. ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করা যাবে না।
৪. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীরা বা গমন প্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভিতরে অবস্থান করার জন্য আহবান করা হলো।
৫. ঢাকা মহানগরী থেকে দূরপাল্লার ফিটনেসবিহীন ও রুটপারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন।
৬. বাসে যাত্রীদের অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
৭. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন।
৮. আন্তঃজেলা ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন যেমন বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, তেজগাঁও, কমলাপুর ইত্যাদি স্টেশনে ও স্টেশন থেকে যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সে বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট থাকবে।
৯. ঈদ উপলক্ষ্যে লঞ্চ টার্মিনাল কেন্দ্রিক যেন কোনো যানজট সৃষ্টি না হয়, সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১০. যাত্রীদের মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন।
১১. কোনো যানবাহনের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।
১২. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না, যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানীর সম্ভবনা থাকে।
১৩. টার্মিনাল ভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।
১৪. মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা যেন সর্বদা হেলমেট পরিধান করে এবং গতিসীমা মেনে চলাচল করে, সে বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশ নিশ্চিত করবে।
১৫. অনেক সময় টার্মিনাল বা আশেপাশের ফাঁকা জায়গায় খালি ট্রাক বা পিকআপে যত্রতত্র যাত্রী ওঠিয়ে দূরপাল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার প্রয়াস চালায়। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে অতীতেও সোচ্চার ছিল এবং সবসময় থাকবে।
১৬. ঈদ উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত লাভের আশায় আন্তঃনগর গণপরিবহনগুলো রুট পারমিটবিহীন বা অনুমোদনবিহীন যেন ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে যত্রতত্র না চলে, সে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মালিক বা শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা অব্যাহত আছে।
১৭. পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকা মহানগরী থেকে বাইরে ও বাইরে থেকে ঢাকা মহানগরীতে নিয়মিত জনসাধারণের আসা-যাওয়া চলমান থাকে। এ জন্য মহানগরীর প্রবেশ বা বের হওয়ার পয়েন্টে যেন কোনো ধরনের যানজট তৈরি না হয়, সে লক্ষ্যে এমন প্রতিটি পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের তদারকি করবে।
১৮. পশুবাহী গাড়িসমূহ অবশ্যই সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদিত হাটে লোড-আনলোড করতে হবে। কোনোভাবেই হাটের বাইরে অথবা রাস্তায় লোড-আনলোড করা যাবে না।
১৯. গরুর হাট কেন্দ্রীক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে।
২০. কোরবানির পশুবাহী যানবাহনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয়।
২১. বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটকেন্দ্রিক সার্ভিল্যান্স টিম গঠন থাকবে।
২২. ঈদুল আজহার সাত দিন আগে থেকে গরুর হাটকেন্দ্রিক সার্বক্ষণিক ফোর্স মোতায়েন করা হবে এবং প্রয়োজনে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।
বিষয়: #ঈদুল