

রবিবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » হয় স্বাধীন ফিলিস্তিন, নয়তো মুসলমানরা শাহাদাতকেই বরণ করে নেবে
হয় স্বাধীন ফিলিস্তিন, নয়তো মুসলমানরা শাহাদাতকেই বরণ করে নেবে
বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::
সব ধরনের যুদ্ধবিধি ও আইন-কানুন লঙ্ঘন করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইবলিস ও মহাশয়তান নেতানিয়াহু গাজায় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা ও নির্মম মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ পূর্ব বিশাল জমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতা ও নির্মমতা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করলেও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শুধু বিবৃতি দিয়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করছে। ওয়াইসিও রয়েছে রীতিমতো নীরব দর্শকের ভূমিকায়। মূলত, মুসলমানদের নামে এ সংস্থাটি মাজাভাঙা ও অতিশয় দুর্বল। এমন নামসর্বস্ব সংস্থা দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের কোনো কল্যাণই সম্ভব নয়। তাই এমন অকার্যকর ও অথর্ব সংস্থা ভেঙে দিয়ে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।
তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমরা গাজাকে মুক্ত ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আগ পর্যন্ত কোনোভাবেই থেমে যাবো না। হয় আমরা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করবো, নয়তো ফিলিস্তিনি শিশুদের মতো শাহাদাতকে হাসিমুখে বরণ করে নেবো। মুসলমানদের জন্য এর কোনো বিকল্প পথ নেই।
তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অবিলম্বে গাজায় নির্মমতা ও নিধনযজ্ঞ বন্ধ করুন। অন্যথায় আপনিসহ পুরো ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্র এবং আত্মসচেতন মানুষ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে। মূলত, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া পুরো মধ্যপ্রাচ্য সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। অথচ বর্বর জায়বাদীরা গাজা থেকে ভূমিপুত্রদের বিতাড়িত করার করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই নির্মম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতারও স্বীকৃতি দিতে চায় না। কিন্তু কোনো মুসলমান বেঁচে থাকতে গাজাকে খালি করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না, বরং বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো।
তিনি মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ব জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সংস্থাগুলোর প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। অন্যথায় শান্তিপূর্ণ বিশ্ববাসী এসব সংস্থাগুলো থেকে বেড়িয়ে আসবে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে বিশ্বের ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে শান্তিপ্রিয় মানুষ আজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা এ ইস্যুতে আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই অবিলম্বে গাজায় দখলদার বাহিনীর হামলা বন্ধ না হলে ‘মার্চ ফর গাজা’ নয় বরং বিশ্বের মুসলমানরা ফিলিস্তিন অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে। তিনি ইহুদিবাদী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মুসলিম উম্মাহকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা,কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন, মহানগরী প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।
বিষয়: #করে #নেবে #নয়তো #ফিলিস্তিন #বরণ #মুসলমানরা #শাহাদাতকেই #স্বাধীন #হয়
