

সোমবার ● ১৪ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সুনামগঞ্জে পুত্রহত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সোলেমান কর্তৃক বাদিনী মাকে হুমকীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সুনামগঞ্জে পুত্রহত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সোলেমান কর্তৃক বাদিনী মাকে হুমকীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
আল হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাওঁ গ্রামের মনির হোসেন (৩৮) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুলেমান এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ জগৎজ্যোতির পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তন হেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাও গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর স্ত্রী ভুক্তভোগী মোছা: বকুল বেগম। এসময় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বামী মৃত্যুর পর আমার ৩ ছেলেকে নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্নভাবে জীবন-জীবীকা নির্বাহ করে আসছি। আমার বড় ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ জনিক আক্তার ও উকারগাও গ্রামের রাজন আহমদের পরকিয়ার সম্পর্কের জের ধরেই মনির হোসেনকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানায় নিহত মনির হোসেনের মা হিসেবে আমি একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। মামলার আসামীরা হলেন উকারগাঁও গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ,রাসেল মিয়া, জাহির আলীর ছেলে সহিবুর রহমান, আব্দুন নুরের ছেলে আলী আহমদ,মৃত রহমত আলীর ছেলে মোঃ তাহের আলী,আব্দুল খালিকের মেয়ে মোছাঃ জনিক আক্তার প্রমুখ। আসামীদের মাঝে ৪ জন গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি আব্দুন নূরের ছেলে আলী আহমদ ও মৃত রহমত আলীর ছেলে মোঃ তাহির আলী। এছাড়াও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একই গ্রামের কামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আলী আকবর, জহিরুল ইসলাম ও সুদান গংদের জড়িত থাকায় তাদেরকে গ্রেফতারের কথা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জ থানার এস আই সুলেমানকে জানালে তিনি রহস্যজনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না। বরং হত্যা মামলার আসামীদের পক্ষ নিয়ে ঐ তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে আমার ছেলে হত্যা মামলায় জড়ানোর জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তদন্ত কর্মকর্তার হুমকীর কারণে ছেলে হারানোর শোকের পাশাপাশি আমি পুলিশের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্থ রয়েছি। তাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পুত্রশোকে কাতর বকুল বেগম বলেন,৩ বছর পূর্বে আমার বড় ছেলে মনির হোসেন,তাহার স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ১পুত্র সন্তান আমার বসতবাড়ীতে রেখে দুবাই যায়। স্বামী দুবাই চলে যাওয়ার পর তাহার স্ত্রী মোছাঃ জনিক আক্তার একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে একাধিকবার বাঁধা নিষেধ দেয়া হয়। বাঁধা নিষেধ অমান্য করে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে আমার পুত্রবধু। এক পর্যায়ে মনির হোসেনকে প্রভাবিত করে ৬ কেদার জমি বন্ধকির কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা এনে রাজন আহমদের হাতে তুলে দেয়। গত দেড় মাস পূর্বে মনির হোসেন দেশে ফিরে তাহার স্ত্রী’র কাছে জমি বন্ধকীর বিষয়ে জানতে চাইলে তাহার স্ত্রী ও রাজন সময়ক্ষেপন করতে থাকে। আমার ছেলে মনির হোসেন দেশে আসার কারনে তাহার স্ত্রী জনিক আক্তার ও রাজন আহমদের পরকিয়া সম্পর্কের বাঁধা হওয়ায় মনির হোসেনকে হত্যা করে ঐ সন্ত্রাসীরা।
বিষয়: #অভিযোগ #এসআই #কর্তৃক #কর্মকর্তা #তদন্ত #পুত্রহত্যা #বাদিনী #মাকে #মামলা #সংবাদ #সম্মেলন #সুনামগঞ্জ #সোলেমান #হুমকী
