রবিবার ● ২৩ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » খেলা » ভারতের জয়ে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
ভারতের জয়ে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
বজ্রকণ্ঠ নিউজঃ
সুপার এইটে উঠাই ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রাপ্তি। সীমাবদ্ধও থাকতে হলো এতটুকুতেই। বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। একটু করে উঁকি দেয়া সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়েছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে এসে। তবে ৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে আসর থেকে বিদায়ের পথে টাইগাররা।
২২ জুন, শনিবার অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে খেলে দুদল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে বাংলাদেশকে ৫০ রানে হারিয়েছে ভারত।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটি জিতে সুপার এইটে উঠা বাংলাদেশ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছেও। টানা দুই হারে শেষ হয়ে গেছে সেমিফাইনালের স্বপ্ন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল ভারত। ভারতের দেয়া ১৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাবধানী করেছিল বাংলাদেশ। ৪.৩ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রানও তুলে ফেলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। তবে লিটন দাস ভালো সম্ভাবনা দেখিয়েও বিদায় নেন। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে তুলে মারতে গিয়ে সূর্যকুমার যাদবকে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ বলে একটি চার ও ছক্কায় ১৩ রান করেন তিনি।
চতুর্থ উইকেট হারিয়ে শতকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। কুলদীপ যাদবের পর পর তিন ওভারে ফিরলেন তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। প্রথম দুজনকেই এলবির ফঁদে ফেলেন এই চায়নাম্যান স্পিনার। তানজিদ ৩১ বলে ২৯ রান করেন। হৃদয় চার রানে ফেরেন। পরে ১১ রান করা সাকিবকে রোহিতের ক্যাচে ফেরান।
বুমরাহকে তুলে মারতে গিয়ে শেষ হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর ইনিংস। ৩টি ছক্কা মেরেছেন, সঙ্গে ১টি চার। ৪০ রানের ইনিংসে নাজমুলের স্ট্রাইক রেট ১২৫। পরের ওভারের প্রথম বলে অর্শদীপকে তুলে মেরেছিলেন জাকের আলী। স্লোয়ার বল বোঝেননি, শটে নিয়ন্ত্রণও ছিল না।
এরপর বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি সূলভ ব্যাটিং করেন রিশাদ। তিনি ১০ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৪ করে বুমরাহর শিকার হন। মাহমুদউল্লাহ ১৩ রানের আর্শদীপের শিকার হন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান কুলদীপ যাদব। এছাড়া আর্শদীপ ও বুমরাহ দুটি করে উইকেট দখল করেন।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ব্যাটে ঝড় তোলে। ৩.৪ ওভারে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। অবশেষে এই ঝড় থামান সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ওভারে এই তারকার বল তুলে মারতে গিয়ে জাকের আলীর কাছে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক। রোহিত ১১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রান করেছেন।
রোহিত আউট হলেও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন বিরাট কোহলি। তবে বিশ্বসেরা তারকার ইনিংস খুব বেশি বড় হতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় নবম ওভারে তানজিমের বলে সরাসরি বোল্ড হন ২৮ বলে ৩টি ছক্কা ও একটি হারে ৩৭ রান করা কোহলি। একই ওভারের তৃতীয় বলে সূর্যকুমার যাদবকে উইকিটকিপার লিটন দাসের ক্যাচে ফেরান এই পেসার।
বেশ খরুচে রিশাদ হোসেন ঋশভ পন্থকে মাঠ ছাড়া করান। ২৪ বলে ৩৬ রান করা এই ব্যাটার রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে তানজিমকে ক্যাচ দেন। পন্থ ৪টি চার ও ২টি ছক্কা ইনিংস সাজান। এরপর এই স্পিনার শিবম দুবেকেও ফিরিয়েছেন। ২৪ বলে ৩টি ছক্কায় ৩৪ করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন রিশাদ।
বাংলাদেশ নিয়মিত উইকেট নিলেও ভারতের রানের চাকা ঠিকই সচল ছিল। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামা হার্দিক পান্ডিয়া ২৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট পান তানজিম ও রিশাদ।
এর আগে বাংলাদেশ সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে হেরেছিল। তবে ভারত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রানের জয় নিয়ে শুরু করেছিল।
বিষয়: #বাংলাদেশ #ভারত