শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Bojrokontho
রবিবার ● ২৩ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » বিনোদন » বাউল কামাল পাশা মননে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
প্রথম পাতা » বিনোদন » বাউল কামাল পাশা মননে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
১৯৬ বার পঠিত
রবিবার ● ২৩ জুন ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাউল কামাল পাশা মননে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু

আল-হেলাল:
বাউল কামাল পাশা মননে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
“বন্ধু সদায় জলে গাও
বিচ্ছেদে মোর পুড়া অঙ্গ কেনবা জ্বালাও।।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন করলেন পণ
দেশের তরে স্বপরিবারে বিলাইলেন জীবন।
মীর্জাফর মোস্তাক রশিদ ফারুক কাউকে না ছাড়িলো
৯ বছরের শিশু রাসেল এর প্রাণ কাড়িয়া নিলো।
লাখো শহীদের প্রাণের কসম শুইন্যা সবে যাও
বঙ্গবন্ধুর সোনার নৌকা কিনারা লাগাও ।।
রাসেল বলে মায়ের কাছে যাবো আমি আমায় ছেড়ে দাও
শত মিনতি করার পরও ছাড়েনা তার গাও।
কারবালা প্রান্তরে যেমন শিশু আলী আসগর বলী হলো
একইভাবে শেখপুত্রও জীবন দিয়ে গেলো।
ডাক এসেছে দেশবাসী টুঙ্গিপাড়া যাও
এ যুগের সীমারের বংশ ধ্বংস করে দাও ।।
উপরোক্ত বিখ্যাত পয়ার ছন্দরকম স্বরচিত গানের মধ্যে দিয়ে রক্তাক্ত কারবালা ট্র্যাজেডি ও ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট কে একই দৃষ্টিভঙ্গিতে রেখে বিভিন্ন রচনায়, বাঙ্গালী জাতির জন্য স্বপরিবারে জীবন উৎসর্গকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার প্রতি যিনি গভীর শ্রদ্বা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করে কিংবদন্তী হয়ে আছেন তিনি হচ্ছেন ভাটি অঞ্চলের গনমানুষের প্রিয় কবি গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন)। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম জন্মদিন বা প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসব কে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু প্রিয় প্রতিটি আত্মা ও হৃদয়ের মনিকোঠায় কামালগীতির স্থান সুমহান মর্যাদায় লালনের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি সবিনয়ে উপস্থাপন করছি। মরহুম বাউল কামাল পাশা ১৯০১ ইং সনের ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিখ্যাত সাধক পুরুষ মরমী কবি আজিম উদ্দিন ডাক নাম টিয়ার বাপ। মায়ের নাম আমেনা খাতুন ঠান্ডার মা। ২ পুত্র ও ৩ কন্যার মধ্যে পরিবারের জেষ্ট সন্তান ছিলেন বাউল কামাল পাশা। কবিয়াল কামাল, বাউল কামাল উদ্দিন, কামাল পাশা,কামাল উদ্দিন সরকার,কামাল শাহ ও শেখ কামাল ইত্যাদি অনেক নামে সংস্কতির অঙ্গন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ও সুন্দরবন থেকে সুনামগঞ্জ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত পাকিস্তানে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ছিল এবং যার গান শুনা যেতো গ্রামোফোন রেকর্ডে (কলের গান)। কলকাতা গ্রামোফোন কোম্পানীর একজন গ্রামোফোন গায়ক হিসেবে স্বদেশ ছাড়াও ভারত পাকিস্তানে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ছিল। সংগীতের সাধনার পাশাপাশি তিনি ১৯৩৫ সালে জমিদারদের আগ্রাসন এর প্রতিবাদে বৃটিশদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক নানকার আন্দোলন, ৪৭-এ রেফারেন্ডাম, ৫২-র ভাষা আন্দোলন, ৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণসঙ্গীত পরিবেশন,৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে ভাটি অঞ্চলে লঞ্চযোগে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে আগত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজমেরীগঞ্জ,শাল্লা,দিরাই,জামালগঞ্জ ও মোহনগঞ্জ উপজেলা সদর সহ বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জনসভায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে নির্বাচনী সঙ্গীত এবং ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে টেকেরঘাট সাবসেক্টরের অধীনস্থ মুক্তিফৌজের ক্যাম্পে জাগরনী গান পরিবেশন করে অমর হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ এর শ্রদ্ধাভাজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন বলেই তাঁদের কাছে বাউল কামাল ভাই হিসেবে আলাদা পরিচিতি ও গ্রহনযোগ্যতা ছিল অজোপাড়াগায়ের এই পল্লীকবির।
ভাষা সৈনিক বাউল কামাল পাশা সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। আন্দোলনের সমর্থনে ১৯৫২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি দিরাই থানার রাজানগর কেপিসি হাইস্কুল মাঠের এক প্রতিবাদ সভায় ঢাকায় ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। আন্দোলনকে বেগবান করতে পরিবেশন করেন স্বরচিত একাধিক বাউল গান।
“যারা কেড়ে নিতে চায় মায়ের ভাষা নিদয়া নিষ্ঠুর পাষাণ
ধিক্কার দেই আমি তাদেরে বন্ধু নয় তারা বেঈমান।।
জাতিতত্তে¡র দোহাই দিল ভারতকে খন্ড করিলো
ভাষার উপর আঘাত হানলো,দাবী করে মুসলমান।।
ভন্ড খাজা নাজিমুদ্দিন,বাঙ্গালীদের রাখতে অধীন
শোষণ করে তাই চিরদিন,কেড়ে নিলো তাজা প্রাণ।।
মোদের গর্র্ব মোদের আশা,সবার উর্ধ্বে বাংলা ভাষা
বলে বাউল কামাল পাশা,মাতৃভাষার রাখবো মান”।।
স্বরচিত মাতৃভাষার গানে ভাষা আন্দোলনের অগ্র সেনানী কারাঘারে আটক শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি স্মরণ করেছেন তাঁর গানে। গেয়েছেন,
ঢাকার বুকে গুলি কেন ? নুরুল আমিন জবাব চাই
ওসে উর্দ্দূ প্রেমে মন মজাইয়া,মারলো কতো শহীদ ভাই।
ওসে উর্দ্দূ প্রেমে মন মজাইলো,করলো কত রং বড়াই।।
শেখ মুজিব কারাঘারে,আন্দোলন কেউ নাহি ছাড়ে
সত্যাগ্রহে এক কাতারে,সামনে আছেন সামাদ ভাই।।
ওয়ান ফৌরটি ফৌর জারী করলো,নির্র্বিচারে ছাত্র মারলো
কত মায়ের বুক খালি হইলো,সে কথাতো ভুলি নাই।।
সালাম বরকত রফিক জব্বার,হলেন শহীদ বাংলাভাষার
একটাই দাবী কামাল পাশার,রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ”।।
৫৪ সালের নির্বাচনে তার স্বরচিত “দেশে আইলো নতুন পানি ঘুচে গেল পেরেশানী/মাছের বাড়লো আমদানী দুঃখ নাইরে আর”শীর্ষক ৫৪ লাইনের রোমান্টিক গান পাকিস্তানের সামরিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা স্বায়ত্বশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলে। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে দিরাই, শাল্লা, জগন্নাথপুর আসনে মুসলীমলীগের শক্তিশালী প্রার্থী আবুল হোসেন মোক্তার (হারিকেন প্রতীক) এর বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ এর বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় বাউল কামাল উদ্দিন সর্বপ্রথম পরিবেশন করেন,
“নৌকা বাইয়া যাওরে বাংলার জনগন
যুক্তফ্রন্টের সোনার নাও ভাসাইলাম এখন
নৌকা বাইয়া যাওরে ।।
ও ভাইরে ভাই, নায়ের মাঝে আছে বুঝি অমূল্য রতন
তিন কাঠের নৌকাখানি ময়ূরের গঠন ।।
ও ভাইরে ভাই নায়ের মাঝি ষোল্লজনা
কেউর কথা কেউ শুনতে চায় না।
জল সিচেনা বৈঠা বায়না পাগলের মতোন ।।
ও ভাইরে ভাই, পাকিস্তানী শত্রæদলে ঐ নৌকা ডুবাইবো বলে
করিতেছে কতই না কৌশল।
শেখ মুজিব (বঙ্গবন্ধু) নায়ের আগায় ঐ নৌকাটা পাড়ে লাগায়
কামালেরি আশা পুরায় নির্দনিয়ার ধন ।।
উপরোক্ত দেহতত্ত্ব গানটির মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের পাশাপাশি রুপক অর্থে তিন কাঠের নৌকাখানী দ্বারা তৎকালীন সময়ের তিন জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী ও শেরেবাংলা এ.কে.এম ফজলুল হকের গুণকীর্তন করেছেন বাউল কামাল পাশা বলে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতারা মনে করেন।

১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনের সমর্থনে তিনি পরিবেশন করেছেন তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় “ মুজিব বাইয়া যাওরে তোমার ছয় দফারী নাও/নিপীড়িত দেশের মধ্যে জনগনের নাও মুজিব বাইয়া যাওরে” শীর্ষক দেশাত্ববোধক গানটি। তখনকার সময়ের এই গানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শিল্পী আব্দুল জব্বারের কন্ঠে ভনিতা ছাড়াই পরিবেশিত হয়। পরবর্তীতে ৬৯ এর গণ অভ্যূত্থান,৭০ এর নির্বাচন,৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে কামাল পাশা রচিত ৬ দফার গানটি ভাটি অঞ্চলের বাউল সমাজের প্রাণের সঙ্গীতে পরিণত হয়। এখনও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মেলা ও ডিজিটাল মেলায় বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ সুনামগঞ্জ সংগঠণভূক্ত শিল্পীরা ৬ দফার গানটি পরিবেশন করেন।
“ মুজিব বাইয়া যাওরে তোমার ছয় দফারী নাও
নিপীড়িত দেশের মধ্যে জনগনের নাও মুজিব বাইয়া যাওরে।।
ও ভাইরে ভাই ছয় দফায় নাও সাজাইলা শেখ মুজিবুর রহমান,ভাইরে মুজিবুর রহমান
ছয় দফার কারণে জ্বালা কত দিল আইয়ূব খান।।
ও ভাইরে ভাই ছয় দফার ভিত্তিতে দেশ হইলো স্বাধীন/ভাইরে হইলো স্বাধীন।
যারা আনলো দেশের শান্তি তারা পরাধীন।।
ও ভাইরে ভাই কতো ভাইয়ের রক্ত কতো মায়ের অশ্রু নিয়া/ভাইরে মায়ের অশ্রু নিয়া।
স্বাধীন করলো মুক্তি ভাইগন গুলি বুকে লইয়া।।
ও ভাইরে ভাই কতো ভাই শহীদ হইয়াছেন বাংলা স্বাধীন করার দায়,ভাইরে স্বাধীন করার দায়
তাদের চরন করি স্মরণ কয় কামাল পাশায় ”।।
শুধু তাই নয় ৬ দফার ঘোর বিরোধীতাকারী পাক প্রেসিডেন্ট আইয়্যুব খানের বিরুদ্ধে রুপক অর্থে রোমান্টিক গান পরিবেশন করেন এই কবি। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর আগমনে সুনামগঞ্জ এটিএম ফিল্ডে অর্থাৎ বর্তমান স্টেডিয়ামে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভায় বঙ্গবন্ধুর মঞ্চে বাউল কামাল পাশা ও তাঁর শিষ্য বড়পাড়া নিবাসী নূর মিয়া ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বাউল মজনু পাশা পরিবেশন করেন “ও পঁচা জারমুনি ৬ দফার বাতাসে তুমি ঠিকবায়নি/ধান খাইলে পাঠ খাইলে হইয়া তুই রাক্ষসিনী ৬ দফার বাতাসে তুমি ঠিকবায়নি”শীর্ষক দেশাত্ববোধক গান।
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারী ঢাকায় ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আসাদের স্মরণে তিনি গেয়েছেন প্রতিবাদী গান। বাউল কামাল পাশা রচিত জনপ্রিয় গান,“আমার কাঙ্কের কলসী জলে গিয়াসে ভাসি/মাঝিরে তোর নৌকার ঢেউ লাগিয়ারে”গানটির অবিকল সুরে পরিবেশিত “আমার পূর্ব পাকিস্তান,হইতেছে স্মশান/আর কতকাল থাকবে ঘরে বসেরে/বলো মোরা যাবো কোনবা দেশে” গানটি গণ অভ্যুত্থান তথা আইয়্যুব খানের পতনের আন্দোলনেও মাইলফলক হিসেবে কাজ করে।
৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে পাকিস্তানী সামরিক জান্তাকে পাঙ্গাস বোয়াল মাছের সাথে বনাম বাঙ্গালী জাতিকে শিং মাগুরের সাথে রুপক অর্থে তুলনা করে সঙ্গীত রচনার দ্বারা কবি কামাল নির্যাতিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর জয়গান গেয়েছেন। ভোটারদেরকে স্বায়ত্বশাসন এর পথে ধাবিত করতে কলে কৌশলে আকার ইঙ্গিতে এই গণসঙ্গীত শিল্পী বলেছেন,
“শোন দেশের জনগণ (বন্ধুয়াগণ) লাগল মজার নির্বাচন/মাছে মাছে করে কীর্তন,স্বাধীনের আশায়\
কানিপনা আর দারকিনায়, ঘুনঘুনাইয়া গান গায়/আগলা থাইক্যা ফুটকুনায় বশে গাল ফুলায়।
ভেদা আর বালিগরা, কথা মাথে চড়া চড়া/ঘইন্যা পুটি কাংলা তারা চলছে ইশারায় গো \
চিকরা গুতুম ইলিশ রানি, তারায় করে কানাকানি/জালুয়ায় বাইন্ধাছে টঙ্গি নদীর কিনারায়।
শিং মাগুর মুক্তিসেনা,অস্ত্র নিয়ে হইছে ফানা/মাটির নীচে বানছে থানা শান্তিরও আশায়গো \
চোখ রাঙ্গা গজারে কয়, রাখছিনা মরনের ভয়/বোয়ালে কয় আমার সনে পারে কোন শালায়।
ইছায় কয় মামলা মিছা চাটায় কয় আমায় বাছা/দলের নীচে বানছে বাসা শান্তিরও আশায়গো \
বুঝে দেখো মনে সবে,পাঙ্গাস বোয়ালে দেশ ছাড়িবে/শিং মাগুরে স্বাধীন পাবে, ভাবে বুঝা যায়।
সরে যাবে পরাধীন,বলে বাউল কামাল উদ্দিন/থাকবেনা আর পরাধীন শুন ভাই সভায়গো।।
শুনেন শুনেন বন্ধুগন,সামনে এলো ইলেকশন/নেতা করবেন নির্বাচন,শান্তি রক্ষার দায়।
পাঙ্গাশ বোয়াল দেশ ছাড়িবে, শিং মাগুর জয় পাইবে/জয় বাংলার জয় হইবে গায় কামাল পাশায়গো”\
৭০-এর সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে হাওরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে আগত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাগত জানিয়ে একাধিক নির্বাচনী জনসভায় স্বাধীনতা,গণতন্ত্র ও নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাউল কামাল পাশা। ঐ সময় তদানীন্তন সুনামগঞ্জ মহকুমার দিরাই বাজারে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী জনসভায় বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার পূর্বে বাউল কামালের পরিবেশিত দু’টি গানের মধ্যে একটি হচ্ছে-
“নৌকা আগে আগে চলে রে ঐ নৌকাটা শেখ মুজিবের
ও নাও দেখতে ভাল চাঁদের আলো গলই ছিল চন্দনের ।।
শেখ মুজিবের নৌকাখানি একবিন্দু দেয়না পানি
উপরে তার আছে ছানি, গোড়া ছিল সেগুনের ।।
সামাদ মিয়া হাইলে ধরা ইমানের মস্তুল খাড়া
তারে নিয়া মারছে উড়া, ছায়া পড়ে আরশের ।।
শেখ হাসিনার অন্তর খোলা, নৌকাটাও দেখতে ভালা
আল্লাহ তায়ালার লীলাখেলা, জায়গা হয়না দালালের ।।
পল্লীকবি কামাল চলে জয় বাংলা জয় বাংলা বলে
ছাড় নৌকা পাল তোলে, ভয় নেই বোমা বুলেটের।।
ঐ নৌকাটা শেখ মুজিবের।।”
পরাধীন বাংলার মাটিকে শত্রুমুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্র ও যুবকদেরকে সশস্ত্র সংগ্রামে উৎসাহিত করার সর্বাত্বক আহবান জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের এই মহান সংগঠকের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় “তোমরা অস্ত্র ধররে ওরে আমার বীর বাঙ্গালী ভাই/পাঞ্জাবী আসিল দেশে বাঁচার উপায় নাই তোমরা অস্ত্র ধররে” “অগ্নিকুন্ড নরহত্যা চালাইলো পাঞ্জাবী এসে,স্বাধীন বাংলাদেশে,আমার সোনার বাংলাদেশে” শ্লোগানের দেশাত্ববোধক গান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৫নং সেক্টরের অধীনস্থ টেকেরঘাট সাবসেক্টর মুক্তিফৌজের ক্যাম্পে পরিবেশিত জাগরনী গানের মধ্যে দিয়ে ছাত্র যুবকদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন মুক্তিযুদ্ধে যেতে। প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে গড়ে তুলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন “স্বাধীন বাংলা শিল্পী সংগ্রাম পরিষদ”। ১৯৭৩ইং সনে সুনামগঞ্জ ষ্টেডিয়াম মাঠে জাতির জনকের সংবর্ধনা মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ছাড়াও তৎকালীন সময়ের সিলেট জেলা ও সুনামগঞ্জ মহকুমার দেশপ্রেমিক নেতাদের প্রশংসা ও গুণকীর্তন পাওয়া যায় তাঁর নাতিদীর্ঘ লোকতত্ত্ব গানে।
“ধন্যবাদ হে জাতির পিতা,বাঙ্গালীর নয়নমনি
ধন্য নজরুল,তাজউদ্দিন,সামাদ কর্ণেল ওসমানী।।
এমনিভাবে “নৌকা বানাইয়া দিল সুজন মেস্তরী/ময়ূরপঙ্খী নায়েরে আপনি কান্ডারী” শীর্ষক দেহতত্ত্ব “নাও চলেরে নাও চলেরে লিলুয়া বাতাসেরে/লিলুয়া বাতাসে নাও চলেরে” নাগিন সুরের সাধনতত্ত্ব “ কে যাও পানসি বাইয়ারে ও বিদেশী নাইয়ারে/খবর একটা যাওরে লইয়া ঘাটে নাও ভিরাইয়ারে” রাধার আরাধনা” “শুকনায় ডুবাইতে পারো তোমার স্বজনের নাও/ তুমি সভার অন্তর্যামী তোমার ইচ্ছায় তুমি চালাও-সৃষ্টিতত্ত্ব” “বাংলা মায়ের সন্তান আমরা কাঁদে কাঁদ মিলাইয়া চলি/ আমরা বীরবাঙ্গালী রে ভাই আমরা বীরবাঙ্গালী ” সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশাত্ববোধক গানসহ বিচিত্র সুর,বর্ণিল ভাষা,নানা কাহিনী ও গীত রচনায় নৌকার পক্ষে জাগরনী গান পরিবেশন করে বাংলার জনগনকে বিপ্লবের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন এই বাউল কবি। মুসলীম লীগের বিরুদ্ধে দেশের সর্ববৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ এবং এই দলের কান্ডারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসাহিত করে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়ে তিনি গান গেয়েছেন।স্বাধীনতা সায়ত্বশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহ্যবাহী সংগঠণ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং এই দলের সর্বশেষ কান্ডারী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করতেও ভূল করেননি এই কবি।
“আওয়ামীলীগ নাম নিয়া ছয় দফা এগিয়া
জাগো জাগো বাঙ্গালী ভাই মুজিব বাতায়া। জাগো মুজিব বাতায়া।।
শেখ মুজিব জাতির পিতা ভূলি নাই তাঁহারী কথা/ভাইরে ভূলি নাই তাঁহারী কথা।
পাইলা কতো দুঃখ ব্যাথা স্বাধীন করার লাগিয়া।।
আমরা তোমার হাতিয়ার জনগণ আছি তৈয়ার/ভাইরে জনগণ আছি তৈয়ার।
জননেতা সামাদ ভাই চলো তুমি এগিয়া।।
ছয় দফারী একটি নায় সব জনতা যেতে চায়/ভাইরে সব জনতা যেতে চায়।
লাগাও নৌকা কিনারায় যাবো সবে উঠিয়া।।
ছয় দফায় তুলবো আওয়াজ নাহি আমরা ভীত লাজ/ভাইরে নাহি আমরা ভীত লাজ
আওয়াজ তোল জনগণ মুজিব মুজিব বলিয়া।।
কয় বাউল কামাল পাশায় উঠো সব ছয় দফার নায়/ভাইরে উঠো সব ছয় দফার নায়।
নৌকা সাজাইয়া দিলা (বাপের বেটি) হাসিনা ”।।
উল্লেখ্য প্রচার বিমুখ নিভৃতচারী এই বাউল সাধক ১৯৮৫ সালের ২০ বৈশাখ শুক্রবার রাত ১২ টায় নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। জীবদ্ধশায় সাধনার আরাধনার ধারাবাহিকতায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সিলেট শুভাগমন উপলক্ষ্যে প্রদত্ত সংবর্ধনা সভায় সংগীত পরিবেশন, ১৯৬৪ সালের ১৮-২৪ ফেব্রুয়ারী সুনামগঞ্জ জুবীলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবে আয়োজক কমিটির সভাপতি তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এম.এ মোত্তালিব ও আটর্স কাউন্সিল সেক্রেটারী সাংবাদিক আব্দুল হাই হাছন পছন্দ সাহেবের আমন্ত্রনে সাড়াদিয়ে (মালজোরা) পালাগান পরিবেশন করে শ্রেষ্ঠ বাউল শিল্পীর পদক লাভসহ গানের সম্রাট উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। মহকুমা প্রশাসন আয়োজিত উৎসবের প্রত্যক্ষদর্শী গীতিকার, নাট্যকার দেওয়ান মহসিন রাজা চৌধুরী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ৩ বারের নির্বাচিত সেক্রেটারী এডভোকেট দ্বিগ্বীজয় চৌধুরী শর্মা শিবু বলেন, অনুষ্ঠানের অপ্রতিদ্বন্দী বাউল শিল্পী মনমোহীনি সরকার পালাগানে বাউল কামাল পাশার কাছে পরাজিত হয়ে তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ঐ অনুষ্ঠানেই ঢাকা থেকে আগত অতিথি শিল্পী আব্দুল আলিম বাউল কামাল পাশার গানের তারিফ করে নিজেকে কামাল পাশার শিষ্য বলে ঘোষনা দেন। এমনকি বাউল কামাল পাশা বিরচিত “প্রেমের মরা জলে ডুবেনা/ও প্রেম করতে দুইদিন ভাঙ্গতে একদিন এমন প্রেম আর কইরোনা দরদী এবং আমি চাইনা দুনিয়ার জমিদারী/ কঠিন বন্ধুরে চাইনা দুনিয়ার জমিদারী ইত্যাদি কামালগীতি রেডিও ও টেলিভিশনে পরিবেশন করে দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে ২৬ মার্চ প্রকাশিত “ সিলেট বিভাগের পাঁচশ মরমী কবি” গ্রন্থের ৮০নং পৃষ্ঠায় লেখক, গবেষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান উল্লেখ করেন “ বাউল কবি দুর্বীন শাহ, কামাল উদ্দিনকে শ্রদ্ধা করতেন কেবল অগ্রজ হিসেবে নয় স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী একজন শক্তিশালী কবি হিসাবেও। অসংখ্য গান তিনি রচনা করেছিলেন। তবে কোন গ্রন্থ না থাকায় তার অনেক গানকে অন্যেরা হজম করে নিয়েছে।” ১৯৯৫ সালের ১৪ এপ্রিল “লোকসাহিত্যে জালালাবাদ” গ্রন্থের ১৭১ পৃষ্ঠায় লেখক, গবেষক মোঃ আসদ্দর আলী বলেন “বাউল কামাল কবিত্ব শক্তির দিক থেকে অনেকের উর্ধ্বে ছিলেন। কতশত গান যে তিনি রচনা করেছিলেন সেটা বলা সম্ভব নয়”। ২০০২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত “মরমী গানে সুনামগঞ্জ” গ্রন্থের ৩৬ পৃষ্ঠায় সম্পাদক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী খান উল্লেখ করেন, “নিরবে নিভৃতে গান রচনা করে হারিয়ে গেছেন অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী কামাল উদ্দিন। কোন বই পাওয়া যায়নি তাঁর জীবদ্ধশায় কোন স্বীকৃতিও পাননি। তবু যারা তার সমসাময়িক তারা আজও তার গানের সুর মুর্ছনার কথা মনে করেন। তার ভিতর উল্লে¬খ্যযোগ্য শাহ আব্দুল করিম।”
সঙ্গীত সাধনায় বাউল কামাল উদ্দিনের ত্যাগ আদর্শ ও শ্রম আজ বৃথা যায়নি। দেরীতে হলেও ২০০৮ইং সনের ২১ শে ফেব্রæয়ারী এ প্রতিবেদক এর সম্পাদনায় ১০১টি গান নিয়ে গীতিগ্রন্থ “গানের সম্রাট কামাল উদ্দিন” প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ আরোও এক হাজার গান সংগ্রহ করে ২য় সংকলন প্রকাশের প্রচেষ্টা রয়েছে অব্যাহত। এছাড়া ড.মুজিবুর রহমান সম্পাদিত “কামাল পাশা গীতিসমগ্র” ড.মোস্তাক আহমদ দ্বীন সম্পাদিত “কামাল গীতি” ও ফারুকুর রহমান চৌধুরী সম্পাদিত “বাউল কামালের গান” নামে আরোও ৪টি গানের বই প্রকাশিত হয়েছে। ১৬ জুলাই ২০১১ইং শনিবার সকাল ১১ টায় সুনামগঞ্জের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে মরমী সংস্কৃতিতে সক্রিয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ এই মহান শিল্পীকে প্রদান করা হয়েছে ভোরের কাগজ প্রতিনিধি সম্মেলন মরনোত্তর সম্মাননা। প্রতিবেদক সাংবাদিকের কাছে বাউল কামাল পাশা সম্মাননা স্মারকটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার এন এম জিয়াউল আলম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও জেলা প্রশাসক জনাব ইয়ামিন চৌধুরী মহোদয়গণ। প্রয়াত এই লোককবির ২/৩ জন শিষ্যসম সঙ্গীত শিল্পী ইতিমধ্যে স্বাধীনতা ও একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন এই গণসঙ্গীত শিল্পীর স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৭ বার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করেছে। জেলা প্রশাসনের একাধিক প্রস্তাবনার আলোকে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে আনুষ্ঠানিক কোন স্বীকৃতি বা মরণোত্তর সম্মাননা জ্ঞাপন করবেন এমন আশা সারা জেলাবাসীর।
“দ্বীন দুনিয়ার মালিক খোদা এত কষ্ঠ সয়না/ তোমার দ্বীলকি দয়া হয়না এবং প্রেমের মরা জলে ডুবেনাসহ দেশ বিদেশে সমাদৃত গানের গীতিকার বাউল কামাল পাশা দীর্ঘ সাধনার জীবনে প্রায় ৬০০০ গান রচনা করেছেন। তার তাত্বিক গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখর সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত,সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমান ও একুশে পদকে ভূষিত শিল্পী ওস্তাদ রামকানাই দাশ যারা অত্যন্ত কাছে থেকে এই মহান সাধককে সাধনা করতে দেখেছেন। আগ্রহভরে শুনেছেন কামাল কবির কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর প্রশংসাসূচক গান।
“বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু নামরে/বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু নাম।।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম সেথায়/প্রমান ইতিহাসের পাতায় পড়ে পাইলামরে \
জন্ম নিলেন বঙ্গবন্ধু শান্তি পাইলো মুসলিম হিন্দু/হিংসা বিদ্বেষ ছিলনা বিন্দু কাজে বুঝিলামরে \
আগরতলা মামলায় পড়ে করাচীর কারাঘারে/স্বাধীনতা আনার তরে (ছাড়েন) আহার ও আরামরে \
আনিলেন স্বাধীনতা শহীদগণ বাংলারী দাতা/মুক্তিযোদ্ধা যত ভ্রাতা, সালাম জানাইলামরে \
বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা ভুলি নাই তাহারও কথা/সাক্ষী রয় বিশ্বের জনতা (কবি) কামাল বলিলামরে \”
সাংস্কৃতিক সংগঠণ “বাউল কামাল পাশা স্মৃতি সংসদ সুনামগঞ্জ” মনেপ্রানে বিশ্বাস করে জঙ্গীবাদমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম করতে হলে মরমী সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাতে হবে। এলক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে, মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দিতে হবে গানের সম্রাট কামাল পাশাকে। বাউল কামাল পাশার এক হাজার গান সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হউক। কামালগীতি প্রচারে এগিয়ে আসুক বিটিভি ও স্যাটেলাইট চ্যানেল। রাষ্ট্র, সরকার ও জাতি এই মহান শিল্পীকে একদিন উপযুক্ত সম্মানে স্বমহিমায় অধিষ্টিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি। পরিশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আত্মত্যাগের ঘটনা নিয়ে এই মহান শিল্পীর লেখা শেষোক্ত পদাবলী সুরের গানটি দিয়ে প্রতিবেদনের ইতি টানছি।
“বলে বাংলার সব জনতা, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা
বাংলায় আর কি জন্ম নেবেরে এমনও আদর্শ নেতা।।
কত কষ্ট করে বাংলায়, আনিলেন এই স্বাধীনতা
নিঠুর পাষাণ শত্রুগনেরে তাঁকে স্বপরিবারে করে হত্যা।।
স্মরণ হইলে ঝরে নয়ন,আগরতলার মামলার কথা
বঙ্গবন্ধুর মনে জানেনরে কারাঘারের ঘরে কত ব্যথা।।
বঙ্গবন্ধুর ভাষন শুনে,কাঁদতো বনের তরুলতা
কামাল বলে হৃদয় জ্বলেরে স্মরণ হইলে সে দুঃখের কথা ”।।

লেখক : আল-হেলাল,জেলা প্রতিনিধি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), গীতিকার বাউল শিল্পী,লোকগীতি সংগ্রাহক, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট,সুনামগঞ্জ।



বিষয়: #  #  #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ

--- --- --- --- --- আমি কয়েকটি লাইভ স্ট্রিমিং টক শো করব এবং আপনাদের সবাইকে আমার “কারেন্ট” অ্যাফেয়ার্সে অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই! আপনি কি আমার টক শোতে থাকতে আগ্রহী হবেন? --- বাঙ্গালী সাজে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিদেশিনী! ???? --- ফেনী ও হবিগঞ্জে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড। যোগাযোগ করুন ::- ফেনী:- ০১৭৬৯৪৪২৯৯৯,০১৭৬৯৪৪২৫৯১ , হবিগঞ্জ: - ০১৭৬৯৪৪১৯৯৯,০১৭৬৯৪৪১৩৩৩ --- আপনাদের লেখা আমাদের অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ বা প্রচার করতে চান ? ই-মেইল ঠিকানা:: [email protected] ---
জেলগেটে যুবলীগ সভাপতিকে করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। চেয়ারম্যান আনোয়ার এর ১০দিনের রিমান্ড আবেদন
প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে প্রবাস থেকে দেশে আসছে সাবেক প্রেমিক হৃদয়! নবীগঞ্জে একে অপকে দিচ্ছে আত্মহত্যার হুমকি!
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তালিকাভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার।।
সুনামগঞ্জে সুরমা ইউনিয়নের অনাস্থাপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রেজা বাহিনীর হামলায় মেম্বার খুরশিদ মিয়া আহত
নবীগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা নাজিমের মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুল সহ ২জন জেল হাজতে
নতুন প্রেরণা বুকে নিয়ে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ঘুরে দেখলেন দর্শনার্থীরা
ড. ইউনূসের ৬ মামলা বাতিল করলেন হাইকোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র বিজয়নগর থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাঁজা সহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে র‌্যাব-৯ এর খাঁচায়
রানীগঞ্জ সেতুতে আলোচিত সিএনজি চালক সুজিত হত্যা মামলার ৩ আসামীকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাড়ি চালক হত্যা-কান্ডে জড়িত তিনজন গ্রেফতার,সিএনজি উদ্ধার।।
সিমেন্ট কারখানায় সিবিএ নেতা আব্দুল কদ্দুছ টাকার মেশিন!
১দিনের জিজ্ঞাসাবাদ জেলগেটে রেখাছ মিয়া…
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মোংলায় উন্মুক্ত রাখা হবে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
দৌলতপুরে র‌্যাবের অভিযানে বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার।
দৌলতপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর জমি দখলের অভিযোগ
“বুড়ি ডাকুয়া বিল’ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউএনও বরাবর দরখাস্ত
সিলেটের ওসমানীনগরস্থ সৈয়দপুর থেকে ১১,২৩৫ পিস ইয়াবা ও একটি কার সহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯
‘কথায় কথায়’ ঘুষ নেন বিদ্যুতের প্রকৌশলী, টাকা ছাড়া এখানে সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা
সুনামগঞ্জে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ডের অভিযানে ১৬ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
রাণীনগরে বিএনপি নেতার ইন্তেকাল
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অফ গভর্ণর মনোনীত
নিষিদ্ধ সংগঠন সিলেট ছাত্রলীগের রাকিবুল ও মিঠুনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯
ব্রিকলেন মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে পূর্বলন্ডনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ মদরিছ আলী গার্ডেন অব পিসে সমাহিত
শাহপরীর দ্বীপে কোস্টগার্ডের অভিযানে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ
দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পর্শে শ্রমিকের মৃত্যু
দৌলতপুরে স্থায়ী বাধ নির্মানের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন
নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর প্রাণেশ দেব এর ভাই ও মা এর বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু।।
হবিগঞ্জের চাঞ্চল্যকর পান্না হত্যা মামলার প্রধান আসামী মান্নাকে ঢাকা থেকে র‌্যাব-৯ ও র‌্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার