বৃহস্পতিবার ● ৩০ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সো কলড বিরোধী দলগুলো মাঠে নেই, আছি আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক : সানজিদা খানম
সো কলড বিরোধী দলগুলো মাঠে নেই, আছি আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক : সানজিদা খানম
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি বলেছেন, আমি সাত বছর কাউন্সিলর ছিলাম, দশ বছর এমপি ছিলাম, তৃতীয়বারের মতো আবার জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য পাঠিয়েছেন। কাজ করে যাচ্ছি। সো কলড রাজনৈতিক দল যেগুলো আছে তাদের তো মাঠে দেখি না, জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে ২০ দল কেউ মাঠে নেই। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক তারাই মাঠে আছি। আমরা মাঠে ছিলাম, মাঠে আছি, মাঠে থাকবো, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর বারোটার দিকে ঢাকা-৪ আসনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনস্থ ৫২নং ওয়ার্ড এলাকার স্যুয়ারেজ লাইন ও খোলা নর্দমা পরিস্কারকরণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, ঢাকা-৪ নির্বাচনি এলাকা সবসময়ই অবহেলিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর এই এলাকায় আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কাজ শুরু করতে পেরেছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনবান্ধব সরকার প্রধান। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য তার মমত্ববোধ অন্য যে কারোর চেয়ে বেশি। ২০০৯ সালে আমরা ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রজেক্ট নিয়েছিলাম। ৫১৯ কোটি ব্যয়ে সেই কাজ এখনো চলমান। প্রজেক্ট বাস্তবায়নের আগপর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ, সিমরাইল, শ্যামপুর, ফতুল্লার মোড়- এই আউটলেটগুলোকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে একাধিকবার আমাদের এলাকায় এসেছেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে সেনাবাহিনীর এই জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ বাস্তবায়ন করলে মানুষের আর দুর্ভোগ থাকবে না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সারা বাংলাদেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু উপকূলে হয়েছে এমন না, ঢাকা শহরেরও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরে ঘরে পানি বন্দি হয়ে আছে মানুষ। জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যারা জনপ্রতিনিধি আছি তারা রাস্তায় নেমেছি। আমরা যে শুধু জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছি তা নয়, আমরা পানিবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে খাবার বিতরণ করছি।
সানজিদা খানম আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজে সমন্বয় করে যদি বিভিন্ন আউটলেটগুলো দিয়ে পানি বের করতে না পারি তাহলে এই জলাবদ্ধতা থেকে সাময়িকভাবে মুক্তি পেলেও স্থায়ী কোনো সমাধান আসবে না। আজকে ড্রেনের স্লাবগুলো তুলে পরিষ্কার করা হচ্ছে, কিন্তু পানিগুলো যাবে কোথায়? ওদিকে শীতলক্ষ্যা এদিকে বুড়িগঙ্গা- এই দুটো নদী মূলত পানি নিষ্কাশনের আউটলেট। এখানে কাউন্সিলর আছে- আমি সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেই এই কাজ উদ্বোধন করতে এসেছি।
একইসাথে, বুধবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৫৯নং ওয়ার্ডের জলবন্দি মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেন জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পিডি ড. শফিউল্লাহ, ৫২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রুহুল আমিনসহ স্থানীয় জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বিষয়: #খানম #সানজিদা