মঙ্গলবার ● ২ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » খুলনা » দৌলতপুরে জনগনের টাকা লুটেনিয়ে সম্পদ গড়ার অভিযোগ
দৌলতপুরে জনগনের টাকা লুটেনিয়ে সম্পদ গড়ার অভিযোগ
খন্দকার জালাল উদ্দিন :
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শেখ আব্দুল্লা শেকুর একজন সৌদি প্রবাসী, তার বিরুদ্ধে কৌশলে জনগনের টাকা লুটে নিয়ে সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠেছে।
শেখ আব্দুল্লা শেকু গোপালপুর গ্রামের মৃত ফরোজ আলী মন্ডলের ছেলে। সে দীর্ঘ ১০ বছর প্রবাসে আছে।
এ বিষয়ে শেখ আব্দুল্লা শেকুর স্ত্রী শহীদা খাতুন বলেন, আমার স্বামী প্রায় ১০ বছর সৌদি আরব থাকে সেখানে থেকে কিছু টাকা পাঠাতো সেই টাকার সাথে স্থানীয় লোকজনের কাছে থেকে জমির উপর টাকা নিয়ে যোগ করে মাঠে, বাজারে সহ বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করি এবং ডাংমড়কা বাজারে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি করি। বাড়ি সম্পূর্ণ করতে টাকার কম পড়লে আমার স্বামী শেখ আব্দুল্লা শেকুর নির্দেশে কম হলেও ১০ জনে ব্যক্তির কাছে থেকে টাকা নিয়া হয়। পরে সেই টাকা দিতে দেরি হলে মানুষ টাকার জন্য চাপ দেয় আমাকে। এমন সময় আমার স্বামীর নির্দেশে সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম গেদুর ছেলে রাজন মোল্লার কাছে থেকে বাড়ি সহ জমি বিক্রের বায়না নামা করে ১০ লক্ষ টাকা নেই। পরে আমার স্বামী শেখ আব্দুল্লা শেকু কৌশলে বাড়ি সহ আমার নামীয় সকল জমি লিখে নেয়। এখন পাওনাদাররা আমাকে ধরছে। এই ঘটনার তদন্ত করে বিচার চাই।
এ বিষয়ে শেখ আব্দুল্লা শেকুর আপন ফুপাত ভাই বকুল হোসেন বলেন, আমার কাছে থেকেও ভাই শেকু বিদেশ থেকে ভাবি শহীদার ফোনের মাধ্যমে কথা বলে টাকা নিয়ে জমি ক্রয় করে। ঠিক আমার কছে যেমন টাকা নিয়েছে তেমন অনেক জায়গায় থেকে টাকা নিয়ে মাঠঘাটে জমি বাড়ি, বাজারে জমি ক্রয় করেছে। আমাদের জানা মতে শহীদার কোন দোষ নাই আমার ভাই শেকুর নির্দেশে সে টাকা নিয়ে জমি ক্রয় করেছে। আমরা ও চাই সকল ঘটনার তদন্ত হোক।
এ বিষয়ে পাওনাদার জমির উদ্দিন,আলমগার হোসেন, ফজিলা খাতুন সহ আর অনেকে বলেন, আমাদের কাছে থেকে শেখ আব্দুল্লা শেকুর স্ত্রী শহীদা খাতুন, শেকুর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলিয়ে চেক ও স্টাম্প দিয়ে টাকা নেই। পরে টাকা ফিরত দিতে না পারলে আমরা চাপ দিতে থাকি। পরে রাজন মোল্লার কাছে বাড়ি বিক্র করে টাকা দেওয়ার কথা টাকা না দিয়ে শেকুর ভাই জনি ভয় ভিতি প্রদর্শন করে । এখন প্রযন্ত টাকা না দেওয়ায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আমরা বাজারের বাড়িটা তালা মেরে দিয়েছি। আমরা সঠিক তদন্ত চাই।
এ বিষয়ে রাজন মোল্লা বলেন, ডাংমড়কা বাজারের বাড়ি বিক্রয়ের জন্য আমার কাছে ২০১৮ সালে ১০ লক্ষ টাকা নেয় জমির মালিক শহীদা খাতুন । পরে আমাকে বায়না নামা করে দেয় তখন থেকে বাজারের বাড়ি আমাকে দখল দেয়। তবে বাড়ি সম্পূর্ন না হওয়ায় তালা বদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে শুনলাম শেখ আব্দুল্লা শেকু কৌশলে শহীদার নিজ নামিয় জমি সব লিখে নিয়েছে। লিখে নিয়ে শেকুর ভাই জনি আমাদের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এ ঘরনার তদন্ত চাই আমরা।
এ বিষয়ে শেখ আব্দুল্লা শেকু প্রবাসে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। শেকুর ভাই জনিরুল ইসলাম জনি বলেন, আমার ভাই এর বাড়ি দখল করে রেখেছে রাজন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। বাড়ি সহজমির মূল মালিক আপনার ভাবি শহীদা খাতুন ২০১৮ সালে রাজন মোল্লার কাছে বিক্র দিয়ে বায়না নামা করে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। পরে কৌশলে আপনার ভাবির সকল দেনা পরিষদ করবেন মর্মে আপনার ভাই শেকু কৌশলে আপনার ভাবির জমি রেজিষ্ট্রেরি করে নিয়েছে, তাহলে কি সাধারণ মানুষের টাকা দেওয়া লাগবেনা? প্রশ্নের কোন সদ উত্তর দিতে পারেনি জনিরুল। এ দিকে এলাকাবাসীর দাবি বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক।
বিষয়: #অভিযোগ #গড়ার #জনগন #টাকা #দৌলতপুর #পরিবার #প্রবাসি #বিরুদ্ধ #লুট #সম্পদ