শুক্রবার ● ১২ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রশ্নপত্র ফাঁস - এলাকার ‘বাটপাড়’ প্রিয়নাথের প্রশ্ন ফাঁসের কারবার!
প্রশ্নপত্র ফাঁস - এলাকার ‘বাটপাড়’ প্রিয়নাথের প্রশ্ন ফাঁসের কারবার!
বজ্রকণ্ঠ নিউজ :
সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপ-পরিচালক ও এক সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের অন্যতম প্রিয়নাথ রায়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত প্রিয়নাথের দিনাজপুর ও ঢাকায় বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁর নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে সম্পদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। একটি জরাজীর্ণ বাড়িতেই বসবাস করছেন তার বৃদ্ধা মা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদরের মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ রায়। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময় বাবাকে হারান। এইচএসসি’র পরে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন। একটা সময় জড়িয়ে পড়েন চাকরি প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে।
চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। জড়িয়েছেন মামলাতেও। এর পর আর বাড়িমুখী হননি প্রিয়নাথ।
এলাকাবাসী জানায়, প্রিয়নাথ বিভিন্ন সময় চাকুরি পাইয়ে দিতে টাকার লেনদেন করতেন। চাকরি দেয়ার শর্তে একেকজনের সঙ্গে চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। এসব করতে গিয়ে অনেকের কাছে টাকা নিয়ে চাকরি দিতে পারেনি। এ নিয়ে তার নামে রয়েছে মামলাও। তখন থেকে সে আর ঠাকুরগাঁওয়ে আসেনি। নেয়নি মায়ের খোঁজ খবর। এলাকার সবাই প্রিয়নাথকে ছিচড়ে চিটার, বাটপাড় হিসেই জানে। তবে সে যে এতবড় কাণ্ডের সাথে জড়াতে পারে তা কেউ ভাবতে পারিনি।
আর অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় প্রিয়নাথের মা রাজবালা দায়ী করলেন খোদ পুত্রবধূকে। দোষী হলেও ছেলের মুক্তি চান তিনি ৷ তিনি বলেন, ৫ বছর থেকে আমি ছেলের মুখ দেখিনি। জানিনা ছেলে কি করে কোথায় থাকে। এতকিছু শোনার পরে এখন ভয় হয়। ছেলের মুখ আর দেখতে পারবো কি না। মৃত্যুর আগে একটাবার ছেলেকে দেখতে চাই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ মুঠোফোনে বলেন, চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় প্রিয়নাথের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে বাড়িতে আসেনা।
বিষয়: #এলাকা #কারবার! #প্রশ্ন #প্রশ্নপত্র #প্রিয়নাথ #ফাঁস #‘বাটপাড়’