শুক্রবার ● ১২ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রশ্নফাঁস করে ৬০ কোটি টাকা কামিয়েছেন খলিলুর
প্রশ্নফাঁস করে ৬০ কোটি টাকা কামিয়েছেন খলিলুর
বজ্রকণ্ঠ নিউজ :
দেশের সর্বোচ্চ মেধা বাছাইয়ের সাংবাধনিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। গত ১২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে অন্তত ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে পিএসসির ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমান (৩৮) গত ১২ বছরে অন্তত ৬০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এমনকি তার সম্পদের পাহাড় দেখে তাজ্জব বনে গেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আদালতে দেওয়া জবানবন্দি ও সিআইডিকে দেওয়া খলিলুরের স্বীকারোক্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে খলিলুর বলেছেন, ‘গত ১২ বছরে অন্তত ৩০০-৪০০ জনকে প্রশ্নফাঁস করে চাকরি পেতে সহায়তা করেছেন। এর মধ্যে বিসিএস ক্যাডার, নন- ক্যাডার ও পিএসসির অধীনে অনান্য নিয়োগও রয়েছে।’
গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশ্নফাঁস করে অনৈতিকভাবে নিয়োগ দিয়ে অন্তত ৫০-৬০ কোটি টাকা কামিয়েছেন বলে আদালত ও সিআইডিকে জানিয়েছেন খলিলুর।
খলিলুরের সম্পদের তথ্য দিয়েছে সিআইডি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগটি জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগে ৬০ ফিটের পাকা মসজিদের সামনে পরমাগলিতে অন্তত তিন কোটি টাকার ফ্লাট আছে খলিলুর রহমানের। কয়েক মাস আগে কেনা ফ্ল্যাটটির ইন্টেরিয়র ডিজাইনও ঝাঁ চকচকে। ঢাকায় আরেকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটি তিনি ভাড়া দিয়েছেন। রাজধানীর আশকোনা এলাকায় বিপুল সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। এছাড়া যশোরের কেশবপুরে তার বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।
আদালতকে খলিল জানিয়েছেন, পিএসসির অধীনে হওয়া বিসিএস ক্যাডার, নন-ক্যাডার ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করেছেন তিনি। আর এর মাধ্যমে গত ১২ বছরে অন্তত ৩০০-৪০০ জনকে চাকরি পেতে সাহায্য করেছেন তিনি। খলিল মূলত পিএসসির পরিচালকদের এমএলএসএস ও অফিস সহায়কদের কারসাজিতে প্রশ্নফাঁস করতেন।
তিনি আরও জানান, তিনি ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থীর কাছে প্রশ্নফাঁস করেছেন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন ৩ জন। বাকি ৩ জন বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন। এছাড়া, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রেলের বিভিন্ন নিয়োগে অন্তত কয়েকশ নিয়োগে তার হাত ছিল।
খলিল জানান, ২০১২ সালে একবার বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন নিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে আটক হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় পিএসসি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পিএসসির সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে তিনি চাকরি প্রার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতেন। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললে নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতো।
তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়ামুলও এসব প্রশ্নপত্র ফাঁসে বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগিতা করেছেন।
বিষয়: #কামিয়েছেন #কোটি #খলিলুর #টাকা #প্রশ্নফাঁস