সোমবার ● ২৯ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সাধারণ ছাত্রদের দাবি একই ছিল: এডভোকেট সানজিদা খানম
বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সাধারণ ছাত্রদের দাবি একই ছিল: এডভোকেট সানজিদা খানম
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দাবি, সাধারণ ছাত্রদের দাবি এবং আমাদের দাবি একই ছিল। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের এটা বোঝাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের ব্যর্থতার ফসল এই আন্দোলন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে কোটা বাতিল করেছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৬ বছর কোনো কোটা ছিল না। তারপর যখন হাইকোর্ট নতুন করে রায় দিলো কোটা বহাল থাকবে, তখন রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী সেই রায় বাতিল চেয়ে আপিল করলেন। অর্থাৎ সরকার সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে আসছে। তাহলে তারা কেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল?
এটা আমাদের ব্যর্থতা যে, সাধারণ ছাত্রদের যে দাবি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার দাবিও একই ছিল সেটা আমরা তাদের বুঝাতে পারিনি। আমাদের উচিত ছিল রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী যে আপিল করেছেন সেই আপিলের বিষয়টা আরো বড় করে প্রচার করা।
২৯ জুলাই, সোমবার গৌরব ‘৭১ আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, নাশকতা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা যখন অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে তখন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারলে এসব তাণ্ডব হত না বলে মনে করেন এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি।
তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার নির্বাচনি এলাকায় ছিলাম, অন্য কোথাও যাইনি। না ডাকলে সেন্ট্রাল অফিসে পর্যন্ত আসিনি। আমাদের এলাকাটা ছিল সবচেয়ে বেশি অস্থিতিশীল। বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা আমাদের এলাকায় তাণ্ডব চালানোরে চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি।
তিনি আরো বলেন, প্রথমদিন সন্ত্রাসীরা রেল লাইন অবরোধ করতে এসেছিল। আমাদের নেতা-কর্মীরা মাঠে ছিল। যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এত অপবাদ দেওয়া হচ্ছে- সেই ছাত্রলীগকে নিয়েই আমরা এই অপশক্তির বিরুদ্ধে, এই জ্বালাও পোড়াও এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ফলে সন্ত্রাসীরা রেল লাইন অবরুদ্ধ করতে পারেনি। তারা বার বার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি।
এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি-জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনার বাস্তবায়ন যেভাবে করেছে তা আমাদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং। এটা আমাদের বোধগম্য হওয়া দরকার। যারা সময় সুযোগ পেলেই মাঠে নেমে অপশক্তিকে সাপোর্ট দিয়ে এই দেশটাকে দখল করতে চায়, তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই প্রস্ততি হবে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্রদের দাবি পূরণ হয়েছে, তারা যেন ঢাল হয়ে ওই অপশক্তিকে আর সুযোগ করে না দেয়।
মুক্ত আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। আরো আলোচনা করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী ও গৌরব ’৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনি। সঞ্চালনা করেন গৌরব ’৭১ -এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মেহেদী হাসান, বিবার্তা২৪ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি, গৌরব’৭১ এর সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান রোমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রূপম, সাবেক ছাত্রনেতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রহিমা খাতুন মুক্তা, ব্যারিস্টার গৌরব চাকী, ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজীব আহমেদ প্রমুখ।
বিষয়: #প্রধানমন্ত্রী