শনিবার ● ৩ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » পুলিশ হত্যায় যুবদল নেতার ইরফানের দায় স্বীকার
পুলিশ হত্যায় যুবদল নেতার ইরফানের দায় স্বীকার
কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যা মামলায় যুবদল কর্মী ইরফান ওরফে রোমান দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২ আগস্ট, শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মুরাদুল ইসলাম তা রেকর্ডের আবেদন করেন।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে দনিয়া ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরফান ওরফে রোকন, ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য মো. আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, মো. সৌরভ মিয়াকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২৭ জুলাই আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার সাত দিনের রিমান্ড চলাকালে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তিনি সেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) পরিবারসহ মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের বিপরীত পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৯ টায় সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে করে বাসা থেকে বের হন। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তর পাশে আসা মাত্রই আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেকে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর আঘাতসহ রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে রাস্তায় পড়ে গেলে আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে গিয়াস উদ্দিনের নাক, কান, মুখমণ্ডল, গলা, হাত, বুক, পেট, ডান পায়ের হাঁটুর নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে বুলিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান মামলা দায়ের করেন।
বিষয়: #ইরফান #দায় #নেতা #পুলিশ #যুবদল #স্বীকার #হত্যা