সোমবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » সিলেট » বিয়ানীবাজার থানা থেকে লুটকরা অস্ত্র-গোলাবারুদ ফেরত দেয়ার আহবান ওসির
বিয়ানীবাজার থানা থেকে লুটকরা অস্ত্র-গোলাবারুদ ফেরত দেয়ার আহবান ওসির
বজ্রকণ্ঠ , বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি ::
গত ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর বিয়ানীবাজার পৌরশহরে কয়েকটি আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পরবর্তী বিয়ানীবাজার থানায় কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। এ সময় তারা থানা ভবনে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি লুটপাট করে থানা পুলিশের বসতঘরগুলোতে থাকা আসবাবপত্র। থানা চত্বরে রাখা আলামতের গাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ নথিতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে থানা কম্পাউন্ডের ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রাগার ভাঙ্গার চেষ্টা করতে গেলে পুলিশ কঠোর হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে অস্ত্রাগারের তালা ভেঙ্গে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে হামলাকারীরা। তখন আত্মরক্ষার্তে বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি ছুড়ে, গুলিতে ২০-২৫ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ৩ জন মারা যায় ঘটনাস্থলে।
ঘটনা পরবর্তী ১২ আগষ্ট পর্যন্ত বিয়ানীবাজার থানায় পুলিশের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। সরকারি ঘোষণা পরবর্তী সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ১৩ ই আগষ্ট থেকে থানা পুলিশের কার্যক্রম সীমিত আকারে শুরু হয় । এসময় কর্তব্যরত অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর জানিয়েছিলেন হামলা ও লুটপাটের ঘটনার প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পরবর্তীতে জনগণের আস্তা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বড় রদবদলের উদ্যোগ নেয় অন্তবর্তী সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিয়ানীবাজার থানায় যোগ দেন নতুন অফিসার ইনচার্জ অকিল উদ্দিন আহমেদ। কর্মস্হলে আসা পরবর্তী তিনি সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে মত বিনিময় সভা করছেন পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য।
শনিবার রাতে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাথে তিনি মতবিনিময় সভা করেন। এসময় তিনি বিয়ানীবাজারের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের সকল ধরনের সহযোগিতা চান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিয়ানীবাজার থানা থেকে একটি শটগান ও একটি চাইনিজ রাইফেল ও বেশ কিছু সংখ্যক গোলাবারুদ লুট করা হয়েছে। এগুলো উদ্ধার না হলে জননিরাপত্তা হুমকির মুখে থাকবে। লুট করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ আগামী ৩০শে আগষ্ট এর মধ্যে থানায় জমা দেয়ার অনুরোধ করেন।
নির্ধারিত তারিখের ভিতর ফেরত দেয়া না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বিয়ানীবাজারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের ভূমিকা, স্থানীয় গণমাধ্যমের বিস্তৃতি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পেক্ষাপট এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি দায়ের হওয়া একটি মামলায় বিয়ানীবাজারের ৫ জন সাংবাদিককে জড়ানোর প্রতিবাদ জানান এবং তাদের অব্যাহতি প্রদানে অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেন।
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের মিসিং অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে যা এখনো উদ্বার হয়নি বিয়ানীবাজার থানার সুত্র মতে তার মধ্যে রয়েছে ১ট ১২ বোর শটগান বার্ট নং-৭৫৯, ৭.৬২ চায়না রাইমোল বার্ট নং-৯৯৬,৭.৬২ চায়না বাইফেলের গুলি ৫০৪ রাউন্ড,৭.৬২ পিস্তলের গুলি ৪ রাউন্ড, এমএম পিস্তলের গুলি তরাশ ৪০ রাউন্ড, ১২ বোর, বাটপানের লিউবল কার্তুজ ৬৬ রাউনন্ড, ৭.৬২ এসএমজির ম্যাগজিন্স ৩টি,৭.৬২ চায়না গুলির চার্জার ১৮টি, রাইফেলের ব্যান্ডালিয়ার ১৮টি, এসএমজির ব্যান্ডালিয়ার ৪টি, গ্যাস মাস্ক ১টি, হ্যাভার সেক্ষ ২টি, ক্লিনিং কি ১০টি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়েকালে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব’র সাবেক সভাপতি ও দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আতাউর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি এম হাসানুল হক উজ্জ্বল, ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল খালিক, সহ-সভাপতি হাসান শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আলম হৃদয় ও মাসুম আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মুকিত মোহাম্মদ, প্রেসক্লাব সদস্য ও দিনকাল প্রতিনিধি মো: জহির উদ্দিন, সদস্য আবুল হাসান, কুড়ার বাজার কলেজের প্রভাষক বিজিত আচার্য, আমার সংবাদ প্রতিনিধি জসীম উদ্দিন, সংগ্রাম প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ, এসআরআই টিভির সাকের আহমদ, দিবালোক’র স্টাফ রিপোর্টার ইমাম হাসনাত সাজু, বিয়ানীবাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ ওমর, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দিলু, এসআরআই টিভির রুহেল আহমদ প্রমুখ।
বিষয়: #বিয়ানীবাজার