বৃহস্পতিবার ● ২৯ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » ছাতকে যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার বিলের মাছ লুটপাটের অভিযোগ
ছাতকে যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার বিলের মাছ লুটপাটের অভিযোগ
আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
ছাতকে জলমহাল গুলো নির্বিচারে দখল ও মাছ লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের বিরুদ্ধে যতই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উত্তর-খুরমা ইউপির মৈশাপুর গ্রামের বয়বরাধিল নামক জলমহালটি ভুমি মন্ত্রনালয় থেকে টেন্ডারে অংশগ্রহন করে ছয় বৎসরের জন্য লিজ প্রাপ্ত হয়েছেন উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউপির শরিষপুর গ্রামের মৃত ব্রজেন্দ্র দাসের ছেলে রনজিৎ দাস। জলমহাল দখল ও মাছ লুট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলা কার্ডধারী সাধারণ জেলেরা। উপজেলার এ জলমহালটি ছয় বছরের জন্য জেলেদের বয়বরাধিল নামক জলমহালটি মৎস্যজীবী সমিতির কাছে ইজারা দেয়া হয়েছে। কার্ডধারী জেলে সদস্যরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে সমিতির মাধ্যমে সেখানে মাছ চাষ করে থাকে। জানা যায়, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের পর উপজেলা জুড়ে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মানিক দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। তার চাচাতো ভাই যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদের ক্ষমতার দাপট এখনো কমেনি। আওয়ামীলীগ,যুবলীগের বেশী ভাগ নেতাকর্মীর আতœগোপনে রয়েছে। উপজেলার সরকারি জলমহালটি যুবলীগের কবল থেকে উদ্ধার হয়নি। গত ৫ বছর আগে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সাবেক এমপির মুহিবুর রহমান মানিকের আমেরতল গ্রামের বাড়িতে নিয়ে ইজারাদার রনজিৎ দাসকে জিন্সি করে সাবেক এমপি মানিক ও তার চাচাতো ভাই বিল্লাল আহমদ গায়ের জোরে জলমালটি দখল করে নিয়েছে। দীর্ঘ ৫ বছরের প্রায় ২৫ লাখ টাকার লিজকৃত বিল থেকে মাছ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ বিল জোরপুরর্ক দখলের ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে উত্তর খুরমা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমদকে ডেকে নিয়ে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদের নেতৃত্বে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যার মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলা এখনো ও চলমান রয়েছে।
গত ২৮ আগষ্ট বিকালে প্রকৃত ইজারাদার রনজিৎ দাস বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ,জলমহালই ইজারাদারকে হামলা মামলা ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতা ও প্রশাসনের প্রভাবে সমিতির নামীয় সরকারী লিজকৃত জলমহালটি দখল করে নেন। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদ,মৈশাপুর গ্রামের পাবেল মিয়া, মুহিবুর রহমান ও আফজল মিয়াসহ ৪ জনের নামে উপজেলা সেনা বাহিনী ক্যাম্প কমান্ডার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালে ২০ জুলাই ৬ বছরের জন্য বয়বরাধিল নামক জলমহালটি ভুমি মন্ত্রনালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ প্রাপ্ত হয়েছেন। উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ তার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের আমেরতল গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে ১০০ টাকা সমমূল্যের নন-জুডিশিয়াল ০৩ খানা অলিখিত ষ্ট্যাম্পে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ৩ খানা ষ্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে জলমহালের খাজনা পরিশোধের পর ইজারাদার রনজিৎ দাসের নিকট থেকে প্রতি বৎসর রসিদের মাধ্যমেও তার স্বাক্ষর নেন। আওয়ামীলীগ ও সরকার দলীয় প্রভাব দেখিয়ে খুরমা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদ ক্ষমতার দাপটে অসহায় রনজিৎ দাসের ওপর নানা অত্যাচার অন্যায় কর্মকান্ড চালিয়ে তার লিজকৃত জলমহালে অনুমান ০৫ বৎসর যাবৎ মৎস্য আহরন বিলের মাছ লুটপাট করে নেন। গত ৬ আগষ্ট মান্নার মাটিই বাড়ীতে থাকাবস্থায় মৈশাপুর গ্রামের আফজল মিয়া ইজারাদার রনজিৎ দাসের ব্যক্তিগত মোবাইল মাধ্যমে তাকে হুমকি দিয়ে বলে যদি কখনো কোন সময় জলমহালে মৎস্য আহরন করার চেষ্টা করছি, এতে তারা তাকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে জলমহালে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়। এসব ভয়ে আমি একজন সংখ্যালঘু মৎস্যজীবি মানুষ এবং মবস্য আহরন ও জীবন-জীবিকা চালায়। এই সমিতিতে ২৫ জন সদস্যের একমাত্র পেশা হচ্ছে জেলেরা।এব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য প্ওায়া যায়নি।
বিষয়: #অভিযোগ #ছাতক #মাছ #যুবলীগ #লুটপাট #সম্পাদক #সাধারন