শনিবার ● ১ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » সিলেট » সিলেটের দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
সিলেটের দুই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
বিভিন্ন উপজেলায় চলমান বন্যার মধ্যে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিলেট নগরীও বন্যার কবলে পড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের শনিবার (১ জুন) বেলা ১২টায় দেওয়া তথ্যমতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার ও সিলেটে ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯২ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ।
তবে সকাল ৬টা এবং ৯টায় সুরমার কানাইঘাট ও কুশিয়ারার দুইটি পয়েন্ট পানির ১ থেকে ৩ সেন্টিমিটার কমলেও সুরমার সিলেট পেয়েন্ট তা অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সিলেটে গত সোমবার (২৭ মে) ভোররাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। কখনো থেমে থেমে মাঝারি, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি হয়ে ঝরছে। সঙ্গে ছিলো দমকা বাতাস।
এর দুই দিন পরে বুধবার (২৯ মে) থেকে ভারী বৃষ্টি ও হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের ৭ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সুরমার পাড়ঘেষা নগীরর নিম্নাঞ্চলসহ উপশহররের কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।
নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও পাশ্ববর্তী একটি ৫ তলা খালি বিল্ডিংয়ে একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনীর ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশন।
গতকাল শুক্রবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, বিভিন্ন কাউন্সিলরদের দেওয়া তথ্যমতে নগরীতে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ইতিমধ্যে ৪ হাজার পরিবার। তাদের পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সিসিক। ৩১ মে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার বন্যা কবলিত এলাকার কাউন্সিলরদের কাছে পৌছে দেওয়া হবে।
এর মধ্যেই সিলেটের জন্য এসেছে আবহাওয়ার নতুন পূর্বাভাস। আগামী তিন দিনের পূর্বাভাসে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টির খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
বিষয়: #দুই #নদী #পানি #প্রবাহিত #বিপৎসীমা #সিলেট