বৃহস্পতিবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভুয়া বিল জমা দিয়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
ভুয়া বিল জমা দিয়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
ছাতকে পিডিবি নিবাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাগামছাড়া অনিয়ম আর দুর্নীতি ঘুস কেলেংকারি কোনোভাবেই থামছে না। এদের বিরুদ্ধে অনিয়ম আর দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে বিদুৎ মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে। এতে পিডিবি ক্ষুব্ধ মন্ত্রণালয় ও সিলেটের বিদুৎ বিভাগীয় অফিস। বিদুৎ বিভাগ বলছে, দুর্নীতির কারণে ছাতকে একাধিক নিবাহী প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলীকে বদলী করা হচ্ছে। সাবেক নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে নানা অনিয়ম লুটপাটের ও বিভাগীয় শান্তিমূলক বদলী করেছেন ছাতক পিডিবি থেকে হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জের দুনীতিবাজ নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদকে ছাতক পদায়ন করা হয়েছে। নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ এখানে যোগদান করে দুনীতির মাত্র তিনগুন বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মিটার সংযোগ,রেজিষ্টারের নামে ৬শ’টাকা আদায় কওে নেয়ার ঘটনা প্রতিদিন ঘঁটছে।এদের বিরুদ্ধে অনলাইনের শতাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি গ্রাহকরা। আর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হিসাব তদন্ত করছে দুদক । এসব লুটপাটের ঘটনার ধামাচাপা দিতে নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদের পক্ষে ঠিকাদার আব্দুল আজিজ কোমড় বেধে বিভিন্ন দপ্তওে ধনা দিচ্ছে। ঠিকাদার আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে রয়েছে, সংস্কারের কাজ না করেই ভুয়া বিল জমা দিয়ে প্রায় তিনকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদুৎ গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে ব্যাংকের ভুয়া সিল মেরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ছাতক বিদুৎ বিতরন বিভাগের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ। তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট চত্রু গড়ে উঠেছে এ পিডিবি অফিসে। এ চত্রেুর মাধ্যমে ভুয়া বিল,বিদুৎ সংযোগ,,ট্রান্সফরমার বিকল, মিটার সংযোগ,ঝুকিপুন লাইন সংস্কারের নামে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কাজ না করে তিন কোটি টাকা ভুয়া বিল জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করছেন। এসব বরাদ্ধের টাকা-গুলোর সংস্কারের কাজ না করে নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ আব্দুল আজিজ ঠিকাদারিধারী প্রতিষ্টানের বসে এসব টাকা গুলো ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়া হয়। ছাতক-দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জ এলাকায় ৪২হাজার বিদুৎ গ্রাহক রয়েছে। এসব বিদুৎ গ্রাহকদের ঝুকিপুন খাম্মা,এলটি লাইন সংস্কার না করেই ভুয়া বিল জমা দিয়ে বরাদ্ধের টাকাগুলো ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আতœসাত করেছেন। এ দুনীতির ঘটনার রহস্য ফাস হয়েছে। গত ২৮ আগষ্ট ছাতক অগ্রণী ব্যাংক শাখায় বিদুৎ বিভাগের কর্মচারি আল-আমিনকে অগ্রণী ব্যাংক শাখা আটক করলে ও ঠিকাদার আব্দুল আজিজের মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিদৎুতের হাজার হাজার গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা ভুয়া বিলের দায়-কে নেবে ? এ নিয়ে নানা সমালোচনা ঝড় বইছে। গ্রাহকরা জানায়, জনতা, অগ্রণী, পূবালী ও সহ ১০-১৫টি ব্যাংকের ভুয়া সিল বানিয়ে আল-আমিনের মাধ্যমে পিডিবি নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ ও অবসরপ্রাপ্ত লাইন-ম্যান মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে এ প্রতারনা চালায়। এ প্রতারক চত্রুরা ছাতক উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংক শাখাগুলোতে সিল ও বিল পরিশোধের ব্যাংক স্বাক্ষর দেয়া হচ্ছে। আর এ পুরো বিষয়টিই ছিল প্রতারকের ফাঁদ। এমন অভিনব প্রতারণার ছক তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করেছেন দুনীতিবাজ পিডিবি ঠিকাদার আব্দুল আজিজ, নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, কমচারি আল আমিন ও অরসরপ্রাপ্ত লাইনম্যান মুজিবুর রহমান। এছাড়া বিদুৎ সংযোগের রেজিষ্টাওে নামে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয়ার প্রতিনিয়ত ঘটনা ঘটছে। এব্যাপারে পিডিব নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদকে তার অফিসে গিয়ে ও তাকে না পেয়ে তার মোবাইল নম্বার রিং দিলে রিং হচ্ছে কিন্ত কেউ রিসিভ করছেন না।
আ: হো: র:
বিষয়: #অভিযোগ #কোটি #জমা দিয়ে #তিন #নেয়ার #বিল #ভুয়া #হাতিয়ে