মঙ্গলবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ছাতকে প্রধান শিক্ষকের নিদেশে ছাত্র- ছাত্রীদের ওপর হামলায়,আহত ১০
ছাতকে প্রধান শিক্ষকের নিদেশে ছাত্র- ছাত্রীদের ওপর হামলায়,আহত ১০
আনোয়ার হোসেন রনি, ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
ছাতকে সীমাহীন দুর্নীতি, প্রধান শিক্ষক মালিকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, ফ্যাসিবাদের লেজুড়বৃত্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ,ভুয়া সাটিফিকেটের আদালতে মামলাসহ প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়। ছাত্র –ছাত্রীরাবিক্ষোভ মিছিল করার অপরাধে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিকের নিদেশে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অতকিত হামলায় শিক্ষাথীরা ও পথচারিসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র জুবায়েল (১৫)সপ্তম শ্রেনীর তাসলিমা আক্তার লিজা (১৪),মরতুজ আলী (৬৫) কে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতলে ভতি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নিবাহী কর্মকতা, থানা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্প বরাবরে শিক্ষাথীরা কামরান,তারেক,লাবিব,ইমন সাহান বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা দোলারবাজার ইউপির জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক পদত্যাগের দাবি চেয়ে শ্লোগান দেন। এতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও অভিবাহকরা এই বিক্ষোভকে সমর্থন করে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীরা জানান,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থন করায় শিক্ষার্থীদেরকে বহিরাগতদের দিয়ে প্রধান শিক্ষককে নানাভাবে হেনন্তা,মারপিট করে ছাত্র ছাত্রীদেরকে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রধান শিক্ষকের দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ করা না পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন। বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার লিজাসহ কয়েকজন বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন করায় আমাদেরকে হেড স্যার নিদেশে হামলা,মারধর,নানা ভাবে হয়রানি করেছেন। তিনি সীমাহীন দুর্নীতি করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। আমরা তার পদত্যাগ চাই।’ স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিকের পদত্যাগের দাবি করলে তার উস্কানি দিয়ে পথহারা কিছু আতœীয় স্বজন ওভাড়াটিয়া লোক দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষাথীর উপর অতকিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের কবল থেকে শিক্ষাথীদের বাচাতে অনেক অভিবাহকরা আহত হয়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের বের হয়ে বিদ্যালয়ে মাঠে চলে আসে। এক পর্যায়ে কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের মাঠে বের করে নিয়ে আসা হয় এবং বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিকের পদত্যাগ দাবিতে ২ ঘন্টা ব্যাপি শ্লোগান করেন শিক্ষার্থীরা। এ শিক্ষার্থীরা ও প্রধান শিক্ষক মালিকের পক্ষ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা -ধাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও শিক্ষকদের লাঞ্চিত করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান,আনোয়ার হোসেন,কনি বিশ^াস,২০২৩ সালে ৫ ফেরুয়ারি উপজেলা নিবাহী কর্মকতা বরাবওে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিকের বিরুদ্দে ১০৫জন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগটি উপ-প্রশাসনিক কর্মকতা জয়নাল আবেদীন প্রধান করে শাহ মোঃ শফিউর রহমান ও উপজেলা কৃষি কর্মকতা তৌফিক হোসেন খানসহ ৩ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ২০২৩ সালে ২৭ জুলাই প্রধান শিক্ষক দায়ী করে নানা অনিয়মের দুনীতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ২০২৩ সালে ১২ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে জাল সাটিফিকেট মামলা দায়ের করে। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২০২৪ সালে ১৬ ফেরুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক শিক্ষাগত-যোগ্যতার সনদপত্র সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।২০২৪ সালে ১৩ ফেরুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। ২০২৪ সালে ১১ জুলাই সুনামগঞ্জ বিঞ্জ আদালত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ড আদেশ করে। এ আদেশ পর প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক আতœগোপনে চলে যান। সে পুলিশের খাতা একজন পলাতক আসামী। এসব ঘটনার বিস্তারিত কাহিনী লিখিত ভাবে উপজেলা নিবাহী কর্মকতাকে গত ২৪ সালে ২৯ আগষ্ট আনোয়ার হোসেন,রহিম উদ্দিন,আবুল হাসনাত,আব্দুল হান্নান,আব্দুর নুর ও মাসুক মিয়ার স্বাক্ষরিত অভিযোগ করেছেন।
অভিবাহক সদস্য আব্দুল হান্নান জানান,বিদ্যালয়ে বহিরাগতদের এ ধরনের হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেন। এ বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোরালো দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এব্যাপারে বিদ্যালেয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক তার মোবাইল নম্বারের ফোন করলে তিনি রিসিভ না করা বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মুন্না এঘটনার অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তদন্তপুবক আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়: #ছাতক #ছাত্র #ছাত্রী #প্রধান #শিক্ষক