শনিবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিঅর সিবিএ সভাপতি কদ্দুছ জিরো থেকে শত শত কোটি টাকার মালিকু!
ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিঅর সিবিএ সভাপতি কদ্দুছ জিরো থেকে শত শত কোটি টাকার মালিকু!
ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি::
বিসিআইসি’র প্রতিষ্ঠান ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সিবিএ (কালেক্টিভ বার্গেনিং এজেন্ট) সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের দুর্নীতি ও লুঠপাট করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সিবিএ সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্মসাধারণ সম্পাদক,বিসিআইসি শ্রমিক কর্মচারি ফেডারেশনের সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস। তিনি ফ্যাক্টরি এলাকার নোয়ারাই-ইসলামপুর গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র। আব্দুল কুদ্দুস ১৯৯১ সালের ১৮ নভেম্বর খালাসি পদে চাকুরি নেন সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে।এর পর তিনি চাকরিতে প্রমোশন,সিবি এ সেক্রেটারি এবং পরবর্তীতে সিবিএ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৫ বছরে মানিক এমপির ছত্রছায়া আওয়ামীলীগ সরকারে দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে চরম ভাবে লুটপাট করেছেন। এ ফ্যাক্টরিতে এমন কোন দুর্নীতি নেই যা তিনি করেন নি। শ্রমিকদেও নিয়ে ফ্যক্টরিতে তার একটি বাহিনী ছিলো।এ বাহিনীকে দিয়ে কারখানার মালামাল চুরি,লুটপাট,শ্রমিক নির্যাতন শ্রমিকের টাকা,সমবায় সমিতির টাকা আত্মসাৎ,সিমেন্ট ফ্যাক্টরির দোকান দখল,বাসা ভাড়া ও শ্রমিক বদলী করেছেন তিনি। গত ৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তন হলে আব্দুল কুদ্দুস আত্ম গোপনে চলে যান। কিন্তু তার বাহিনীর লোকজন এখন রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করে একটি শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দৌড়-ঝাপ দিয়ে যাচ্ছে। সে দুর্নীতি করে ১৫বছরে ও শত শত কোটি টাকার মালিক আব্দুল কুদ্দুস। সহযোগিরা তার মাধ্যমে ফ্যাক্টরি থেকে বিপুল পরিমান ফায়দা নিয়ে সম্পদের মালিক হয়েছেন। যার ফলে ওই চক্রটি এখন কারখানায় স্বয়ক্রীয় রয়েছে।তারাই এখন দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে এবং যে কোন নেতার নেতৃত্বে নতুন ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও কুদ্দুস সহ তাদের নিজ নিজ অবস্থান পাকাপোক্ত করতে মাঠে নেমেছেন এ সব আওয়ামীপন্থীরা। এদিকেফ্যাক্টরিতে আব্দুল কুদ্দুস ও এমপির ভাতিজা আজিজুর রহমানসহ তার সহযোগিদের অনিয়ম,দূর্ণীতি,আত্মসাৎ,স্ক্যাপ চুরি, লুঠপাঠের বিষয়ে ২৩ টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ আগষ্ট বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান,দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে একটি লিখিত করেছেন ফ্যাক্টরির অস্থায়ী শ্রমিক আবু সুফিয়ান বাবুল। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিসিআইসি’র একটি তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত কার্যক্রম গত ২০ অক্টোবর শেষ কওে তারা ঢাকায় চলে গেছেন। বিসিআইসিসি প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য,কর্মচারি বিভাগের উপ- কর্মচারি প্রধান (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফার রহমান,অর্থ বিভাগের উপ প্রধান হিসাব রক্ষক বিপুল কুমার মজুমদার, বিসি আইসির প্রতিষ্ঠান ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানার সাবেক উপ ব্যবস্থাপক বাণিজ্য,বর্তমানে বিসিআইসি’তে কর্মরত মঈনুল ইসলাম।অভিযোগকারী আবু সুফিয়ান বাবুল এপ্রতিনিধিকে জানান,সিবিএ সভাপতি কদ্দুসা আত্মগোপনে থেকে তার একটি স্বক্রীয় গ্রুপ ফ্যাক্টরিতে পরিচালনা করে যাচ্ছেন।তারা আওয়ামীপন্থী বর্তমানে অন্য দলের হয়ে ভিন্ন ব্যবস্থায় ট্রেড ইউনিয়ন পরিচালনায় ব্যস্থ। তিনি বলেন, অভিযোগর সকল বিষয় তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
এব্যাপারে জাতীয় শ্রমিকলীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্মসাধারণ সম্পাদক,বিসিআইসি শ্রমিক কর্মচারি ফেডারেশনের সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস
মোবাইল একাধিকবার কল করলে ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার ব্কব্য নেয়া যায়নি। এব্যাপারে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)আব্দুর রহমান বাদশাহ জানান, বিসিআইসিতে শ্রমিকের দেয়া একটি অভিযোগর ভিত্তিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম ফ্যাক্টরিতে এসে তদন্ত করেছেন। সোমবার তদন্ত কমিটি সকল পক্ষ ও সাধারণ শ্রমিক এবং কর্মকর্তাদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করে সোমবার বিকালে ঢাকার চলে গেছেন। বিসিআইসির প্রধান কার্যালয়ের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি ১৫ দিনের ভিতর রিপোর্ট দেওয়া কথা রয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়: #আনোয়ার #রনি #হোসেন