সোমবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ১৩ হাজার গ্রাহক চরম হয়রানির শিকার ছাতকে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছে গ্রাহকরা
১৩ হাজার গ্রাহক চরম হয়রানির শিকার ছাতকে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছে গ্রাহকরা
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
ছাতকে এসআলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিন ব্যাংকে গিয়েও টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংক থেকে প্রতিদিনে গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেও বেশির ভাগ গ্রাহকরা খালি হাতে ফিরছেন। এতে ১৩ হাজার গ্রাহককে জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে পাছেন না।
গত সোমবার দুপুরে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখা গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। এ ব্যাংকের দিনে ১৮০ থেকে ১৯০ গ্রাহক জড়ো হন টাকা উত্তোলনের জন্য। কিন্তু এ শাখাতে তারল্য সংকট থাকায় এবং গ্রাহকরা নতুন করে টাকা জমা না দেওয়ায় নগদ টাকার সংকট কাটছে না।
জানা গেছে, ব্যাংকে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ও রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) বন্ধ থাকার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম বুথেও টাকা দেওয়া বন্ধ থাকার কারণে ১৩ হাজার গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পড়েছে।
এ ব্যাংকের দেখা হয় গ্রাহক ছাবিনা খানম যুগান্তরকে বলেন,ব্যাংকের ৪লাখ টাকা জমা রেখেছি। তারা আমাকে মাত্র ৫ হাজার দেয়। গত দুই সপ্তাহ টাকা তুলতে পারিনি। ব্যাংকের অফিসাররা বলছেন তাদের কাছে টাকা নেই। গ্রাহক রুকসনা যুগান্তরকে বলেন, বাচ্চার অসুখ নিয়ে ব্যাংকে এসেছি, টাকা তুলতে। ব্যাংক কোনও টাকা দিচ্ছে না। ওষুধ কিনবো কেমনে? তাদের মারপিট করলে টাকা বের হবে না।
গ্রাহকরা চেকে স্বাক্ষর করে টাকার অঙ্ক না লিখে তা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে জমা রেখে যাচ্ছেন। যেন ব্যাংকে টাকা জমা হলে সামান্য কিছু হলেও পান। শত শত গ্রাহক জড়ো হয়ে আছেন ব্যাংকটির ক্যাশ কাউন্টার ও ব্যবস্থাপক কক্ষের সামনে। গ্রাহকরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টাকা পাচ্ছে না।
ব্যাংকের জুনিয়র ক্যাশ অফিসার ও ক্যাশ ইনচাজ শাহজাহান যুগান্তরকে বলেন ব্যাংকে গ্রাহক টাকা জমা দিচ্ছেন না। সবাই শুধু নিতে আসেন। প্রতিদিন গ্রাহকের টাকা জমা প্রদান সাপেক্ষে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।
এব্যাপারে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিম আহমদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন টাকা সংকটে কথার সত্যতা স্বীকার করে বলেন প্রতিদিন গ্রাহকদের ৫ হাজার থেকে ১০হাজার টাকা কবে গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে। একসঙ্গে সব গ্রাহকরা টাকা তুলতে আসছে। কিন্তু নতুন করে গ্রাহকরা টাকা জমা না দেওয়ার ফলে এ সংকট দেখা দেয়।
এদিকে উপ শাখা ইউনিয়ন ব্যাংকের গোবিন্দগঞ্জ শাখায় টাকা তুলতে আসা গ্রাহক মিলন বলেন, গত দুই মাসেও টাকা তুলতে পারিনি। ব্যাংকের অফিসাররা বলছেন তাদের কাছে টাকা নেই। তাহলে আমাদের জমানো টাকা কই গেলো।
এব্যাপারে ইউনিয়ন ব্যাংকের উপ শাখার ইনচাজ জামিল আহমদ যুগান্তরকে বলেন টাকা সংকটে কথা স্বীকার করে বলে প্রতিদিন ৩০ ও ৩৫জন গ্রাহক ব্যাংকের আসে চেক নিয়ে নগদ টাকা তোলবে। অনেক গ্রাহকদের চাহিদা মতো দিতে পারছেন তারা। এব্যাপারে কতৃপক্ষের সুদষ্টি কামনা করছেন গোবিন্দগঞ্জবাসী।
বিষয়: #আনোয়ার #রনি #হোসেন