সোমবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় আমেরতল গ্রামের মৃত খাইরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল আহমদসহ ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় ”আগুনে গৃহ ঘর পুড়ানো”মামলা দায়ের করা হয়েছে। গৃহ পুড়ানো, চুরি ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অপরাধে এ মামলাটি গত ১০ নভেম্বর ছাতক থানায় দায়ের করেছেন মৎসজীবি রণজিত দাস। তিনি উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামের মৃত ব্রজেন্দ্র দাসের ছেলে, পঙ্কজ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও বরবরাবিল নামক জলমহালের লীজ গ্রহিতা। দায়েরকৃত ওই মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন, যুবলীগের নেতা উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মৈশাপুর গ্রামের খুর্শিদ আলীর ছেলে পাবেল মিয়া, মৃত মকবুল আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান, মৃত সোনা উল্লার ছেলে আফজল মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে জুবায়ের আহমদ, মৃত মকবুল আলীর ছেলে ছাদিকুর রহমান ও আমিনুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জন।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের নয়া মৈশাপুর গ্রাম সংলগ্ন বরবরা নামক জলমহালটি ৬ বছরের জন্য বৈধ ভাবে লীজ গ্রহণ করেন মামলার বাদি রণজিত দাস। ওই লীজকৃত জলমহালে তিনি মৎস্য চাষসহ আহরণ করে আসলেও আসামিরা লোভের বশিভূত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পাহারাদারদের মারপিট করে জলমহালের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ করে নিতে থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এ জলমহালের পাহারাদারদের মারপিট করে ১লাখ ২০হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি করে। এ বিষয়ে ছাতক থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সর্ব শেষ গত বছরে ৮ নভেম্বর ভোর পৌনে ৬ টার দিকে দেশীয় ও প্রাণ নাশক অস্ত্র নিয়ে জলমহালের পাহারাদারদের গৃহে আসেন বিল্লাল চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামিরা। প্রধান আসামি চেয়ারম্যান বিল্লালের হুকুমে জলমহালের পাহারাদারদের মৈশাপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আলী হোসেন ও লাল খানের ছেলে রাসেল খানকে মারধর করে আহত করা হয়। পরে ওই চেয়ারম্যানসহ আসামিরা তাদেরকে পানিতে ফেলে দিলে তারা সাতার কেটে বরবরাবিল নামক জলমহালের নৌকায় উঠে প্রাণে রক্ষা পায়। এ ঘটনায় জলমহালের পাহারাদারদের গৃহটি পেট্রোল দিয়ে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেয় বিল্লালসহ তার সহযোগিরা। এতে ওই গৃহে থাকা মাছ ধরার দুটি জ্বাল, খাবারের চাল,আসবাবপত্রসহ পুড়ে দিয়ে আর্থিক ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করেন। এছাড়া ৭ বস্তা মাছের খাবার, একটি গ্যাস সিলিন্ডার তারা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে ৮৯ হাজার ৭শ’৫০টাকার আর্থিক ক্ষতি করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ওই জলমহাল নিয়ে বিল্লাল চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে গত ১০ নভেম্বর রাতে সিআর ৪৭৬/২৪ইং মোকদ্দমা আদালতে চলমান রয়েছে। এ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাসান।
বিষয়: #আনোয়ার #উপজেলা #উপি #চেয়ারম্যানসহ #বিরুদ্ধ #মামলা #যুবলীগ #রনি #সম্পাদক #সাধারণ #হোসেন