বুধবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বৈষম্যবিরোধী মামলার বাদী নাকী হত্যা মামলার আসামী মুসাহীদ!
বৈষম্যবিরোধী মামলার বাদী নাকী হত্যা মামলার আসামী মুসাহীদ!
” হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হত্যা মামলার আসামীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলেন এলাকাবাসী ”
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার বাদী ও হত্যা মামলার এক আসামীকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। পরে এই আসামীকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেন।
এবং তাদের হেফাজতে রেখে চিকিৎসা করানোরও খবর পাওয়া যায়। থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মুসাহীদ এর বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
এই মামলার প্রধান আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল মুসাহীদ। মুসাহীদ এলাকার একজনকে মাছ মারার আত্তর দিয়ে আঘাত করে প্রানে হত্যার চেষ্টা করে।
আহত যুবক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসাপাতালে মৃত্যু শয্যায় কাতরাচ্ছে। সিলেটে চিকিৎসাধীন আহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে মুসাহীদকে প্রধান আসামি করে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই মামলার পর থেকে মুসাহীদ পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে এই মামলার আইও’র পুলিশ হেফাজতে মুসাহীদের চিকিৎসা চলছে বলে জানাযায়।
সূত্রে আরও জানাযায়,আজ ১২ নভেম্বর(মঙ্গলবার)বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে আসামি মুসাহীদ মিয়াকে বাসার যাওয়ার পথে বাদী পক্ষের কাওসার ও কাসেমসহ এলাকাবাসী দেখতে পান।
এসময় তারা তাদের মামলার আসামি মুসাহীদ মিয়াকে ধরে গণধোলাই দিয়ে আলমপুর বাজারে আটক করে রাখেন। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন ও এলাকাবাসী মুসাহীদকে গণধোলাই দেন।
গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে কিছুটা আহত হয় বলে জানান স্হানীয়রা। পরে বানিয়াচং থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর নেতৃত্বে এসআই আলাল মিয়াসহ একদল পুলিশ আলমপুর বাজারে পৌঁছান।
এবং সেখান থেকে আসামি মুসাহীদ মিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান।
বর্তমানে মামলার আইও এসআই আলাল মিয়ার অধীনে আহত আসামী মুসাহীদ মিয়ার চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানাযায়।
আহত আসামী মুসাহীদ মিয়া(জামায়াত কর্মী)আলমপুর গ্রামের মৃত সজলু মিয়ার পুত্র।
উল্লেখ্য, মুসাহীদ মিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হওয়ার ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর ৫৮ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় প্রতিপক্ষের নিরহ লোকজনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর টাকা খেয়ে মিথ্যা মামলার আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মুসাহীদ মিয়ার এমন কর্মকান্ডে লোকমুখে এখন এমন আলাপচারিতা ঐ শুনা যাচ্ছে,মুসাহীদ কি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার বাদী নাকি হত্যা মামলার আসামী! এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর সাথে মুঠোফোনে রাত ১০টা ৩২মিনিটে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মুসাহীদ আমাদের থানার একটি মামলার আসামি।
আজ তাকে প্রতিপ্রক্ষের লোকজন দেখে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এসময় উত্তেজিত লোকজন হয়তো কিছুটা গণধোলাই দিয়েছেন যার কারনে সে কিছুটা আহত হয়েছেন।
মামলার আইও তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন। মুসাহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে কারা বাদী হয়ে কোন অভিযোগে মামলা করেছেন জানতে চাইলে,তিনি জানান একজন লোহার অস্ত্র দিয়ে গাই দিয়ে আহত করেছে। সেই ব্যক্তি সিলেট হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় রয়েছেন।
তাহলে মুসাহীদ মিয়াকে কি গ্রেফতার দেখানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে,তিনি মামলার আইও এসআই আলাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। এব্যাপারে মামলার আইও এসআই আলাল মিয়ার সাথে রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করলে মুসাহীদ মিয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে,তিনি বর্তমানে খুবই ঝামেলার মধ্যে রয়েছেন বলে জানান।
এছাড়াও এই বিষয়ে ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে এসআই আলাল মিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে এই বিষয়ে জানতে রাত ১০ টা ৪৬ মিনিটে ও বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এর সরকারি মোবাইল ফোন নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে রাখলে এই রিপোর্ট লেখা কালীন সময় পর্যন্ত কোন জবাব না পাওয়ায় পুরোপুরি বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বিষয়: #আসামী #নাকী #বাদী #বৈষম্যবিরোধী #মামলা #মুসাহীদ #হত্যা