বুধবার ● ২৭ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » ছাতকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সহকারী প্রকৌশলীকে বদলী
ছাতকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সহকারী প্রকৌশলীকে বদলী
ছাতক প্রতিনিধি:
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বদলী করা হয়েছে। বদলী প্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন- সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ শর্মা, সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল আজিম।
গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিতরণ অঞ্চল এর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির এর স্বাক্ষরিত একটি দপ্তরাদেশে তিনজনকে ৩০ নভেম্বর মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে ১ ডিসেম্বর থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়।
সুনামগঞ্জের ছাতকে অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ দিন ধরে এই কার্যালয়ে সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে ঘুষ-বাণিজ্য চলছে বলে ভ্ক্তুভোগীদের অভিযোগ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরেই ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর অফিসটি অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান ও ঠিকাদার আজিজুর রহমানসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে একাধিক রয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ, সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান,কম্পিউটার অপারেটর (ওএসআই) আল আমিন সহ একটি সিন্ডিকেট চক্র হচ্ছে দুর্নীতির মূলহোতা। এই চক্রটি বহিরাগত আরও ৬-৭ জন দালাল তৈরী করে তাদের মাধ্যমেও গ্রাহকদের জিম্মি করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এমন কোনো খাত নেই, যেখানে স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা অনিয়ম দুর্নীতি করেন না নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ। এ সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে ভুয়া বিল, বিদ্যুৎ সংযোগ, ট্রান্সফরমার বিকল, মিটার সংযোগ, পোস্ট-পেইড মিটারে ভূতুড়ে বিল, প্রি-পেইড সংযোগ দিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিদ্যুৎ অফিসেরই একজন কর্মচারীকে দিয়ে করেন মিটারের ব্যবসা। নতুন মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে মিটার ক্রয় করতে হয় বাজারের স্বাভাবিক দর থেকে বাড়তি দামে। গ্রাহকরাও হয়রানি এড়াতে বাধ্য হন তার কাছ থেকে মিটার কিনতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী আবেদনের সাত দিনের মধ্যে প্রি-পেইড সংযোগ পাওয়ার কথা গ্রাহকদের। কেউ যদি বাজার থেকে কেনেন, তবে সেই গ্রাহকের ফাইল আটকে থাকে এক থেকে দুই মাস পযর্ন্ত। বিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারণে খুঁটি প্রতি তিনি নেন ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা, আর প্রতি কিলোওয়াট লোড বৃদ্ধিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করেন অতিরিক্ত কয়েক গুণ বেশি অর্থ। এদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ এর প্রধান সহযোগী হচ্ছে ঠিকাদার আজিজ ঝুকিপূর্ণ লাইন সংস্কারসহ ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থবছরে কাজ না করে তিন কোটি টাকা ভুয়া বিল জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে টাকা গুলো তাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা কারা হয় বলে জানাগেছে।
এব্যাপারে ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে এরকম অভিযোগ করা হচ্ছে। এব্যাপারে ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদকে মোবাইলে কল দিলে রিং হচ্ছে কিন্ত তিনি কল রিসিভ করেনি।##
আনোয়ার হোসেন রনি
বিষয়: #অনিয়ম #ছাতক #দুর্নীতি