শনিবার ● ৩০ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » উত্তপ্ত এলাকা যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশংকা।
উত্তপ্ত এলাকা যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশংকা।
” হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জামাইয়ের লোকজনের হামলায় শশুর হাসপাতালে! পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল।”
আকিকুর রহমান ::
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মজলিসপুর গ্রামের ভিতরে আজ ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার)রাত আনুমানিক ৮টার দিকে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
জানাযায়, মজলিসপুর গ্রামের মৃত বাছির উল্বার পুত্র নূর মোহাম্মদ মিয়া(৬৬) মোটরসাইকেল যোগে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
বাড়ি ফেরার পথে মাতাপুর মহল্লার ব্রীজ পাড় হয়ে মজলিসপুর গ্রামের ভিতরে পৌঁছা মাত্র ঐ পতি পক্ষ তার জামাতা ইউপি সদস্য মুনসুর মিয়ার লোকজন মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে থাকে আহত করে পালিয়ে যায়।
এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই হামলার ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে গ্রামে উত্তপ্ত বিরাজ করছে।
যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
অভিযোগে জানাযায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আপন ভাতিজীর জামাই এই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মুনসুর মিয়া এই হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
মুনসুর মেম্বার তার আপন চাচা শশুর নূর মোহাম্মদ মিয়াকে হত্যার উদ্যেশেই এই হামলাটি চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন নূর মোহাম্মদ মিয়ার লোকজন।
এই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জালাল মোহাম্মদ মিয়ার কন্যাকে বিয়ে করেন বর্তমান ইউপি সদস্য মুনসুর মিয়া।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে বলে মনে করেন আশপাশের মহল্লার লোকজন।
এই ঘটনার পর পর এলাকার একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন, আজ রাত হওয়ায় সংঘর্ষ হবেনা তবে সকাল বেলা সংঘর্ষ হবে যে এটা নিশ্চিত করেই বলেন তিনি।
এই ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত করে নিজেদেরকে তৈরী করে হামলার পরিকল্পনার ছক তৈরী করে যাচ্ছেন বলেও সূত্রটি জানায়।
এছাড়াও এই ঘটনা নিয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট লেখা কালীন সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিটে জানাযায়,
আহত নূর মোহাম্মদ মিয়াকে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও সর্বশেষ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বে মজলিসপুর গ্রামের মসজিদের মুতাওয়াল্লী নিয়ে এই দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
এবং উভয় পক্ষের শতাধিক নারী-পুরুষসহ অনেকেই আহত হন।
পরে এই ঘটনাটি সালিসের মাধ্যমে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের হলরুমে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও দেশের কিছু সর্দার প্রধান উপস্থিত থেকে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছিলেন বলেও খবর পাওয়া যায়।
এদিকে সমাধানের কিছুদিন পর এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন বলে খবর পাওয়া যায়।
অন্যদিকে প্রশাসন এই হামলার ঘটনাটি অবগত হওয়ার পর পর মজলিসপুর গ্রামে সেনাবাহিনীর টহল টিম ও থানা পুলিশের টহল টিম পর্যবেক্ষন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রশাসন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হোসন এর সাথে মুঠোফোনে রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ঘটনার পর পরই আমার থানা পুলিশ কয়েকবার এলাকা গিয়ে টহল দিয়েছেন।
এছাড়াও এই মুহূর্তে আমি নিজে পুলিশ নিয়ে মজলিসপুর গ্রামে রওয়ানা দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে আহত নূর মোহাম্মদ মিয়ার সাথে থাকা তার পুত্র শোভন এর সাথে রাত ১২ টা ১৪ মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তার পিতাকে প্রথমে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখান থেকে রেফার করলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট রেফার করা হয়।
তারপর তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসাপাতালের উদ্যেশে রওয়ানা দিয়েছেন এবং বর্তমানে নবীগঞ্জ অতিক্রম করেছেন বলে জানান।
বিষয়: #আশংকা #উত্তপ্ত #এলাকা #যেকোনো #সংঘর্ষ #সময়