বুধবার ● ৫ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » ১০দিন ধরেই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছাতকে ধারন নাদামপুর ও রুক্ষা আরসিসি ডালাই,
১০দিন ধরেই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছাতকে ধারন নাদামপুর ও রুক্ষা আরসিসি ডালাই,
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ উঠেছে ছাতকে।
এ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের প্রথম ধাপে গোড়ায় গলদ থাকায় বাস্তবায়নে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। ঠিকাদারি প্রতিষ্টান কাজ শেষ করে তিন মাসের মধ্যে পাকা আরসিসি ডালাই সড়ক প্রায় ৩ কোটি ৩৮লাখ ৪৮ হাজার টাকার সড়কটি রড না থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এঘটনায় জেলাজুড়েই ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
গত ২৭ মে ভোরের ঝড় বৃষ্টি ছাড়াই ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির ধারন নাদামপুর রুক্ষা গ্রামের পাকা আরসিসি ডালাই ভেঙ্গে যায়।
এ সড়কটি কাজ বাস্তবায়ন ঠিকাদারি প্রতিষ্টান
টি এমই এন্ড আরই জেবি মেসার্স টি এম এন্টার প্রাইজ ও মেসার্স রাজিব এন্টার প্রাইজ ইল্লাল চেম্বার ৯ম তলা সিএ ঢাকা ১০০০ বিরুদ্ধে
নানা অনিয়ম রড বিহীন ও নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওধায় ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির ধারন নাদামপুর রুক্ষা নামে ২০২২ সালে ৭ জুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ২০২৩ সালে ৬ জুন টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান নিয়োগ করেন এলজিইডি।
এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত আর সিসি ডালাই পাকার কাজ শুরু করেছেন টি এমই এন্ড আরই জেবি মেসার্স টি এম এন্টার প্রাইজ ও মেসার্স রাজিব এন্টার প্রাইজ ইল্লাল চেম্বার ৯ম তলা সিএ ঢাকা ১০০০ ।কাজ শুরুতে অনিয়ম, রড ছাড়াই আরসিসি ডালাই করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্টান। এ নিয়মের ঘটনায় সঙ্গে স্থানীয় এলজিইডি অফিসে দুনীতিবাজ কমকতা ও প্রকৌশলীরা জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
৩ কোটি ৩৮লাখ ৪৮হাজার টাকার বরাদ্ধ ২০২৪ সালে ফেরুয়ারি মাসে কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস যেতে না যেতেই আরসিসি পাকা ডালাই সড়কটি গত ২৭ মে ভোরে ঝড় বৃষ্টি ছাড়াই ভেঙ্গে খালে বিলীন হয় সড়ক। এ পাকা সড়ক ভাঙ্গনের ফলে ১০দিন ধরে ধারন নাদাম ও রুক্ষা গ্রামে সড়ক যোগাযোগ এক বারেই বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে প্রকল্পটিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রড ছাড়াই নিম্নমানের কাজ করায় এ আরসিসি পাকা ডালাই ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এতে ২০ ও ২৫ গ্রামে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে। ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের এমন অনিয়ম পাকা সড়ক ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়,সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত আর সিসি ডালাই পাকা সড়কটি কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস যেতে না যেতেই খালে বিলীন হয়েছে আরসিসি পাকা সড়ক।প্রকল্পটি কার্যত কোনো কাজে না আসায় সরকারের ক্ষতি ৩ কোটি ৩৮লাখ ৪৮ হাজার টাকা।সরকারি অর্থ গচ্চা গেলেও ঠিকাদার ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইডি জনৈক প্রকৌশলীরা এ অনিয়মের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সঠিক তথ্য না দিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ করেন তারা। সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির ধারন নাদামপুর ও রুক্ষা গ্রামে ২০২২ সালে ৭ জুন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ২০২৩ সালে ৬ জুন প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ করেন চলতি বছরের ফেরুয়ারিতে। সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৩ কোটি ৩৮লাখ ৪৮হাজার টাকা।
গত ফেরুয়ারি মাসে কাজ শেষ হওয়ার পর চলতি মৌসুমের বর্ষার শুরুতেই পাকা সড়ক ধসে যেতে শুরু করে। এর মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পর বিল উত্তোলন করেন ঠিকাদারি সংস্থা।
এব্যাপারে ইউপির মেম্বার রসিক আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রড ছাড়াই রাস্তাটি পাকা কাজ শেষ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। এখন পাকা রাস্তা ভেঙে খালে চলে গেছে। পাকা রাস্তাটি ভাঙ্গনে কারনে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানে সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ কবলে ও রিং হচ্ছে তারা কেউ রিসিভ করেনি। এব্যাপরে ছাতক (এলজিইডি) প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখানে প্রকল্প নীতি অনুযায়ী কাজ শেষ করা হয়েছে। কাজে অনিয়ম ও রড বিহীন কি না এটা খতিয়ে দেখে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া আমরা জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি মেরামতের জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে জানিয়েছি। বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সড়কটি রক্ষার ব্যাপারে নির্দেশনা দেবে। সেই অনুযায়ী কাজ হবে।
বিষয়: #ছাতক