বৃহস্পতিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » এই পর্যন্ত গ্রেফতার ১৩জন!
এই পর্যন্ত গ্রেফতার ১৩জন!
” হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে বানিয়াচংয়ের ৯ খুন মামলার পলাতক আসামী আওয়ামীলীগ সভাপতি গ্রেফতার”
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে বানিয়াচং থানার ৯খুন মামলার এক পলাতক আসামী গ্রেফতার।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এবি.এম মাঈদুল হাছান এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই প্রদীপ রায়,এসআই মোহাম্মদ শাহিরয়ার আলম,এসআই শুভ্র চন্দ্র দাস সহ একদল পুলিশ বিরাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলোচিত ১০টি হত্যার সত্য ঘটনার ৯ খুন এর মিথ্যা মামলার এজাহারনামীয় ১৫৬ নং এক পলাতক আসামী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল আওয়াল (৫০)মেম্বারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আওয়াল মিয়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিরাট গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিম মিয়ার পুত্র।
পরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বানিয়াচং থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করার বিষয়টি নিশ্চিত রাত ১০টার দিকে নিশ্চিত করেন ওসি এবিএম মাঈনুল হাসান।
এব্যাপারে মামলার আইও এসআই জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি আসামী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বর্তমানে আসামী বানিয়াচং থানা হেফাজতে রয়েছে। আগামীকাল হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এছাড়াও উনার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি। এই পর্যন্ত এই মামলায় কতোজন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন,১৩জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এই মামলায়।
এর মধ্যে আওয়াল মিয়াসহ এজাহার নামীয় ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যান্য মামলায় গ্রেফতারকৃতসহ ৫ জনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সর্বশেষ ৯জনের লাশ উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন ১৬ ডিসেম্বর এর পর লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষ লাশ উত্তোলনের বিষয়ে জানতে বানিয়াচং উপজেলার সহকারী(ভূমি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,লাশ উত্তোলনের বিষয়ে নিহত সকল পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও ডাক্তারসহ পুরো কার্যক্রম পরিচালনার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আগামী ১৬ডিসেম্বর এর পর লাশ উত্তোলন শুরা করা হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য,গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী এক দফা ছাত্র আন্দোলনের পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এক পর্যায়ে পুলিশ আত্ম-রক্ষার্থে গুলি ছুঁড়লে শিশুসহ ৭জন আন্দোলনকারী নিহত হয় এবং শতাধিক এর উপরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের হামলা ও গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে এক সংবাদকর্মী ও এক পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও আন্দোলনকারীগন থানায় আগুন ধরিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাটসহ সকল পুলিশ সদস্যদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
১৩ ঘন্টা পর সকল অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেন।
পরদিন ৬ আগষ্ট সিলেটে চিকিৎসারত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ এক আহত আন্দোলনকারী নিহত হয়। এনিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ৮জন নিহত নিয়ে মোট ১০জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই ঘটনার ১৬দিন পর নিহত এক শিশুর পিতা বাদী হয়ে ৯জন নিহতের হত্যার ঘটনায় আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপি এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল ও এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানকে হুকুমদায়ী আসামি করে ১৬০জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৩০০জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
যেই মামলাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠে লোকমুখে।
বিষয়: #গ্রেফতার #জন