শুক্রবার ● ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ সদস্যের অনাস্থা
ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ সদস্যের অনাস্থা
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের ১১ জন ইউপি সদস্য ও সদস্যরা। গত বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়,ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মতামত অগ্রাহ্য না করে চেয়ারম্যান তার নিজ ক্ষমতা সাবেক সরকারি দলীয ক্ষমতা প্রভাব দেখিয়ে চেয়ারম্যান ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে হোল্ডিং নম্বর প্রদান করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যান যৌথভাবে এলজি, এসপি-, ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা,টিআর, কাবিখা, কাবিটা, অতি দরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচি,গরীবের নলকুল কোটিপতিদের কাছে ৫০,৬০হাজার টাকা বিত্রিু, এডিপি বরাদ্দসহ সরকারি আরও অনেক বরাদ্দ আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও বিচার প্রার্থী সাধারণ জনগণের কাছ থেকে সালিশ বাণিজ্য, ওয়ারিশ সনদ, জন্ম নিবন্ধনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্যরা হলেন,ছাদ আহমদ,সাজন আহমদ, নুর উদ্দিন,রসিক আলী সাগর, খালেদ আহমদ খলিল,জয়নাল আহমদ তালুকদার,আজাদ মিয়া,কয়ছর আহমদ ও সংরক্ষিত মজিলা সদস্যা,রুপ্তনমালা,রুকসানা বেগম,মিটু রানী পালসহ ১১ সদস্যেরা। ৩ নং ওয়াডের মেম্বার ছায়াদুর রহমান ছায়াদ দেশে বাইরে রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ আমেরতল গ্রামে মৃত খয়রুল ইসলামের পুত্র। সুনামগঞ্জ জেলা ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের দুষর,আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সুনামগঞ্জ ৫ (ছাতক দোয়ারাবাজার) আসনে সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের আপন চাচাতো ভাই বিল্লাল আহমদ। সাবেক মন্ত্রী এ এম মান্নান ও মানিক এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে থানার দালালী থেকে শুরু টেন্ডার বানিজ্যি,গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বেনামে প্রকল্পের নামে ভুয়া বিল জমা দিয়ে কাজ না করে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। সে ১৬ বছরে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ অনিয়ম,দুনীতি লুটপাটও চাদাবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
গত ৫ আগষ্ট অন্তবতী সরকার আসার পর ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ দীর্ঘ দিন পলাতক ছিলেন। সে পলাতক থাকায় অবস্থায় সিলেটের র্যার ৯ সিলেট থেকে শাহপরান থানার একটি মামলা গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় এক মাসে বেশী দিন ও কারাগারে ছিলো। জামিনে বের হয়ে আতœগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়নবাসীরা সাধারন মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চেয়ারম্যান আতœগোপনে থেকে বিধি বর্হিভূত ভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে পরিষদের যাবতীয় কার্যাদি একক তবে পরিচালনা করে ্আসছে। তার একক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিশেষ প্রজেক্টের মাধ্যমে জনগনের সম্পদ অন্যায় জাবে আত্মসাত করেছে। ইউপি পরিষদে অনুপস্থিত না থেকে অচেনা জায়গা থেকে গুরুত্বপুন ফাইলে স্বাক্ষর দিচ্ছেন।অভিযুক্ত দাঙ্গাবাজ চাদাবাজ দুণীতিবাজ চেয়ারম্যান বিদাল আহমমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জোরালো দাবি করেন। ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে উপজেলার নিবাহী কর্মকতা তরিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ১১ সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা অভিযোগটি তদন্তপুবক আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়: #ইউপি #চেয়ারম্যান #ছাতক