বুধবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ছাতকে আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিনকে তিন মাসেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি
অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ছাতকে আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিনকে তিন মাসেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
ছাতক শিল্পনগরী উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন তিন মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ । পুলিশ বলছে পলাতক,গ্রামবাসী বলছে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সিলেটের মহানগরী বসুন্ধরা ব্রজনাথ টিলা আবাসিক এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে মো ছবর আলী হাবু বাদী হয়ে গত ১ অক্টোরর সাজুয়ান আহমদ ও ছাতকের আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিনসহ ৮৫জনের নাম উল্লেখ্য করে সিলেটের কতোয়ালী থানায় নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ মামলা দায়ের পর ও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিন। পরে সিলেটের ৫১/বি সৈযদ মুগনী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মৃত মাসুক মিয়ার পুত্র মুহিন আহমেদ বাদী হয়ে গত ৫ অক্টোরর সিলেটের আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে প্রধান ও ছাতকের আওয়ামীলীগের নেতা আপ্তাব উদ্দিনসহ ৯৫জনকে আসামী করে সিলেটের এয়ারপোট থানায় আরেকটি নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি নাশকতা মামলা,হামলা ভাংচুর,লুটপাট,চাদাবাজি,ও প্রতারনা আতœসাতসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী আওয়মিীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে সিলেটের নাশকতা দুটি মামলা মারপিট হামলা মামলা চাঁদাবাজি ও ১৩টি ইউপির শতাধিক অসহায় মানুষকে সরকারি নলকুপ দেয়ার নামে ২৫লাখ টাকা আতœসাৎ, থানার দালালি, গ্রাম্য শালিসের জামানতে টাকা আতœসাত,হামলা মামলা,নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড,অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে গোটা এলাকাবাসি তার হাতে জিন্মি পুলিশি হয়রানি মিথ্যা মামলা ভয় দেখিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কালারুকা ইউপির রাজাপুর,হাসনাবাদ,খাইরগাও,আকুপুরসহ ২০টি গ্রামের আলেম-বিএনপির কর্মীদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তার এ অবৈধ টাকার ভাগ পেতো সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারাও। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর,আওয়ামীলীগের কালারুকা ইউপির সভাপতি আপ্তাব উদ্দিনের ক্ষমতার দাপট এখনো ও কমেনি। আবারো ও হামলা মামলা দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গত ৩ ডিসেম্বর সকালে আপ্তাব উদ্দিন ও তার ভাই আরফাত আলীর নেতৃত্বে ২৫-২৬ জনের একটিদল গ্রামের কৃষক আব্দুল হকের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনার নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এঘটানার বিরেধের ধরেই দুপক্ষের মধ্যে দুই ঘন্টা ব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আব্দুল হক বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ১৫জনের নাম উল্লেখ্য করে গত ৯ ডিসেম্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের পর আওয়ামৗলীগ নেতা আপÍাব উদ্দিন এলাকা ছেড়ে আতœগোপনে চলে গেলে ও তার সামাজিক ফোইসবুক আইডি চালু রেখে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ও অন্তবর্তী সরকার বিরোধী অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তার নানা অপ-প্রচারের ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আবারো ও টান টান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এসব হামলা ভাংচুর লুটপাটের এ ঘটনা ঘটিয়ে বিভিন্নখাতে নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিন তার ্আপন ভাতিজা সেলিম আহমদ বাদী হয়ে গ্রামে শালিস ব্যক্তি নুরউদ্দিন,জুনেল আহমদ,পা¦েবল আহমদ,আশরাফ উদ্দিন,ইলিয়াছ উদ্দিন,আব্দুর রহমান,ছাদিকুর রহমান,নুর আহমদ,গৌছ মিয়া,মুজিবুর রহমান,বিল্লাল আহমদ,হাবিবুর রহমান,কবির আহমদ, নিজাম উদ্দিন,শাহীন মিয়া,নাজিম ও মানিক মিয়াসহ ২৯জনকে আসামী করে গত ১৫ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।্এ মামলা দায়ের ঘটনায় নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সংষঘের আশাংকা রয়েছে। সে উপজেলার কালারুকা ইউপির আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজাপুর গ্রামের হাজী ফখর উদ্দিনের পুত্র আপ্তাব উদ্দিন। সংবাদকর্মী মৃত ওমর ফারুক চান মিয়ার কোটি টাকার জায়গা জমি গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের রাজাপুর বাজারস্থল শংকরপুর মৌজার ২৩ শতক জায়গা দখল করেন। এঘটনায় প্রতিবাদ করতে হামলা মামলার শিকার হন। এঘটনায় পুলিশ ও আদালতে সু- বিচার না পেয়ে সংবাদকর্মী মারা গেছেন। এসব ঘটনার পর থেকে আপ্তাব উদ্দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আজও সংবাদকর্মীও পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জঙ্গিবাদ দোহাই দিয়ে রাজাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান,তালহা,হেলালউদ্দিন,নেছার আহমদ,অছিউর রহমান,এবাদুর রহমান,সালেহ আহমদ,লুৎফুর রহমানসহ দেড় শতাধিক হেফাজত,জামায়াত, বিএনপির, যুবদল ছাত্রশিবির,ছাত্রদল,শ্রমিকসহ বিরুদ্ধে এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিনের নিদেশে সাবেক থানার এস আই আতিকুল আলম খন্দকার,এস আই হাবিবুর রহমান পিপিএম ,এস আই দেওয়াল উজ্জলসহ ২০২১ সালে ১৮ এপ্রিল জঙ্গি ও নাশকতার মামলা দায়ের করেন। এমামলায় দ’ুশতাধিক মানুষকে আসামী করেন। এ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আপ্তাব উদ্দিন এদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন। থানায় এ মামলা করার ঘটনায় আলোচনা -সমালোচনা মধ্যে চলে আসে আপ্তার উদ্দিন।
তার নেতৃত্বে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে ইচ্চামতো চাঁদা আদায় করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কাবিখা,টিআর,টেন্ডারবাজি, শিক্ষক লাঞ্ছনা, টিসিবি ডিলার নিয়ে উপকারভোগীদের কাছে মালামাল বিত্রিু না বেশী লাভে আশায় চোরাই পথে টিসিবি মালামাল বিত্রিু করার অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েছেন গ্রামসহ এলাকাবাসি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সুরমা নদী কালারুকা ও মুক্তিরগাও এলাকায় নৌকা থেকে ব্যাপক চাদাবাজি,গ্রাম্য শালিসের জামানতের টাকা আতœসাত,শতাধিক গরীবদেরকে সরকারী নলকুল দেয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ৩ডিসেম্বর গ্রামবাসীর ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে আফতাব বাহিনীর লোকজন। এ সময় প্রামবাসীদের,রামদা দা লোহার রড ও লাঠিশোটা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ৫০ জনকে আহত করা হয়। তার নিজ গ্রামের সহজ সরল মানুষের ওপর হামলা,সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি, জায়গা দখল-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপ্তাব উদ্দিন আত্মগোপনে থেকে নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে নিরবে। এসব ঘটনার তিন মাস অতিবাহিত হলে ও এখনো আওয়ামীলীগ নেতার আপ্তাব উদ্দিন গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা আপ্তাব উদ্দিনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারি এস ্আই আশরাফুল আলম চৌধুরী এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারছেন না তিনি। তবে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়: #অতিষ্ঠ #অত্যাচার #আওয়ামীলীগ #এলাকাবাসী #ছাতক #নেতা