সোমবার ● ৬ জানুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে রাখালের লাঠির আঘাতে প্রান গেলো শিশু তরিকুলের।।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে রাখালের লাঠির আঘাতে প্রান গেলো শিশু তরিকুলের।।
আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গরু রাখালের লাঠির আঘাতে ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু(নিহত)
হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানাযায়, ৫জানুয়ারি (রবিবার)বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গুঙ্গিয়াজুড়ি জালালপুর হাওরে দুপুরের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিশু তরিকুল হাওরের কৃষি জমি থেকে টমেটো উত্তোলন করার জন্য শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলো।
নিহত শিশু তরিকুল মিয়া(৯)হলো ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নূর মিয়ার পুত্র। সূত্রে জানাযায়, একই ইউনিয়ন এর তাতারী মহল্লার মৃত মিজান উল্বার পুত্র ইরফান আলী(৫০) এই হাওরে গরু রাখালের কাজ করতেন।
তার লাঠির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি নিহত শিশু তরিকুল এর পিতা নূর মিয়ার।
ঘটনাটি দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে রাখাল ইরফান আলী গরুর দিকে লাঠি উড়িয়ে মারলে শিশু তরিকুলের উপর আঘাত আনলে মাটিতে লুটিয়ে পরে যায় বলে দাবি রাখালের।
এই লাঠির আঘাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় শিশু তরিকুল মিয়ার(৯)।
এই খবরটি তরিকুলের পরিবারসহ আশপাশের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে হাওরের দিকে ছুটে চলেন এলাকাবাসী।
এসময় শিশু তরিকুলের পিতা ঘটনাটি তার ইউপি সদস্য শাহেদ মিয়াকে ফোনে অবগত করেন।
তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য শাহেদ মিয়াও এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে বড় বান্দের (আলীপুর)
ছুটে যান। সেখান থেকে শিশু তরিকুলকে উদ্ধার করেন এবং উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রাখাল নূর মিয়াকে বাঁচাতে হাওর থেকে তাদের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
এব্যাপারে ঘটনার সাথে সাথে ৩য় বারের রানিং ইউপি সদস্য শাহেদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,খবর শুনা মাত্র ঐ তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে হাওরে গিয়েছিলেন।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সিতে (ডিউটিরত) কর্তব্যরত ডাক্তার তরিকুল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও জানান শাহেদ মিয়া।
এসময় হাসপাতালে এক হট্টগুল শুরু হয় রাখালকে গণধোলাই দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তরিকুল এর লাশটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করার জন্য থানায় নিয়ে যান এবং রাখালকে আটক করে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সূত্র গুলো নিশ্চিত করেন।
তাৎক্ষণিক এই বিষয়ে জানতে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ কবির হুসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এমন একটি ঘটনার খবর শুনেছি।
কিন্তু আমি থানার বাহিরে থাকায় আপাতত এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছিনা।
তবে সেখানে এসআই আওয়ালসহ একদল পুলিশ পাঠিয়েছি।
এব্যাপারে এসআই আওয়ালের সাথে মুঠোফোনে বেলা ৪ টা ২৮ মিনিটে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নিহত শিশু তরিকুলকে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন এবং রাখাল ইরফান আলীকে আটক করে থানায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন।
তিনি একটি মামলার এজাহার লেখা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং এবিষয়ে পড়ে কথা বলবেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কবির হুসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শাহেদ মিয়ার মুঠোফোনে বেলা ৫টা ৫মিনিটে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,শিশু বাচ্চাকে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
কিন্তু দারোগা এসআই আওয়াল তিনি তার মতো এই বিষয়ে এজাহার লেখার বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকারীদের বাঁচানোর পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেন।
এবিষয়ে তিনি দারোগাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আপনি কিসের এজাহার লিখেন,দারোগা জানান রিপোর্ট পাঠানোর জন্য।
এসময় শাহেদ মিয়া বলেন,তিনি একজনকে ধরে দেওয়ার বিষয়টি ওসি মহোদয়কে অবগত করেছেন।
তাহলে তিনি কিভাবে মনগড়া নিহত শিশু তরিকুল এর পিতা,মাতাকে ছাড়া ঐ এজাহার লিখে নিচ্ছেন মনমতো করে।
তারাতো মামলা না ও করতে পারে।
আপনি প্রয়োজনে ১৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করবেন।
তিনিতো এভাবে তাদেরকে না জানিয়ে এজাহার লিখতে পারেননা।
আপনারা সাংবাদিক এখন এই বিষয়টি আপনারা ঐ চিন্তা করে দেখুনতো আমি ঠিক বলেছি কিনা দারোগাকে।
সর্বশেষ নিহত তরিকুল এর পরিবার সূত্র ও ইউপি সদস্য সাথে যোগাযোগ করে জানাযায়,তারা তাদের সন্তান হত্যার ব্যাপারে মামলা দায়ের করবেন।
বিষয়: #বানিয়াচং #হবিগঞ্জ