

শনিবার ● ২২ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » ঢাকা » রাজধানীজুড়ে সেনাবাহিনীর বাড়তি তৎপরতা
রাজধানীজুড়ে সেনাবাহিনীর বাড়তি তৎপরতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশজুড়ে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যেই ঢাকায় সেনা সদস্যদের তৎপরতা বেড়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে বাড়তি টহলের পাশাপাশি তল্লাশি চৌকি বসিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী অবশ্য বলছেন, এই তৎপরতা সেনা সদস্যদের ‘নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ।’
“এটি সেনা সদস্যদের পার্ট অব ডিউটি, বাড়তি টহল বা চেকপোস্ট বলে কিছু নেই। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।”
শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় রামপুরা, শান্তিনগর, কাকরাইল, জাতীয় প্রেসক্লাব, বায়তুল মোকাররম, মহাখালী, বিজয় সরণি, গুলশান, খিলক্ষেত এলাকায় চৌকি বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের।
যৌথ বাহিনীর অভিযানের আওতায় পরিচালিত এসব চৌকিতে সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার থামিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গহণ করলেও দেশজুড়ে সেনা মোতায়েন থাকে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ৬০ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এরপর দুই দফায় তাদের সেই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যা ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতা ও ভারতে মুসলিমদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে’ দুপুরে বিভিন্ন ইসলামি দল ও সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ছিল।
এই কর্মসূচি ঘিরে জুমার নামাজের আগেই বায়তুল মোকাররম ও এর আশেপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়।
নামাজের আগে মসজিদের গেইটে পুলিশের সঙ্গে সেনা সদস্যরাও তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়েছেন। নাইটিঙ্গেল মোড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের অবস্থান ছিল।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ও অলি-গলিতে সেনা সদস্যদের বাড়তি টহলও ছিল চোখে পড়ার মত।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তবে দলটির যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচারের আওতায় আনার কথা বলেছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য প্রত্যাহার এবং গণ আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন একদল শিক্ষার্থী।
এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী’ এবং ‘ইনকিলাব মঞ্চের’ ব্যানারে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা।
এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকাজুড়ে যৌথবাহিনীর ‘নিয়মিত অভিযানের’ অংশ হিসেবে সেনাসদস্যদের বাড়তি কার্যক্রম দেখা গেল।
বিষয়: #তৎপরতা #বাড়তি #রাজধানীজুড় #সেনাবাহিনী