

বৃহস্পতিবার ● ২৭ মার্চ ২০২৫
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবা সহ মাদকসম্রাট আসলাম আটক
বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবা সহ মাদকসম্রাট আসলাম আটক
জিতু তালুকদার, মৌলভীবাজার ::
বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এর অধীনস্থ গজুকাটা বিওপি কমান্ডার এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল ২৬ মার্চ বুধবার আনুমানিক ৭ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার গহেলাপুর প্রথম ব্রিজ (জামালের বাড়ীর সামনে) নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করার সময় একটি সিএনজিযোগে ০৫ (পাঁচ) জন ব্যক্তিকে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় টহলদল সিএনজিটিকে থামানোর সিগন্যাল দেয়। এমতাবস্থায়, সিএনজি চালক দূর হতে টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে সিএনজিটি রেখে পালানোর চেষ্টার প্রাক্কালে টহলদল মোঃ আসলাম হোসেন (৪০), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, গ্রাম-গজুকাটা, পোষ্ট-দোবাগ, থানা-বিয়ানীবাজার, জেলা-সিলেট আটক করতে সক্ষম হয় সাথে থাকা অপর ০৪ (চার) জন সিএনজিটি চলন্ত অবস্থায় রাস্তার পার্শ্বে পানি/কর্দমাক্ত জায়গায় লাফিয়ে পরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামী মোঃ আলম হোসেন (৫০), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, মোঃ আব্দুস সামাদ (৪৫), পিতা-মৃত আইনুল হক, আব্দুস সালাম (৪৫), পিতা- মৃত খোরশেদ আলম এবং আব্দুর রাজ্জাক বটলা (৫০) পিাতা মৃত সমের আলী সকলের ঠিকানা-গ্রাম-গজুকাটা, পোষ্ট-দোবাগ, থানা-বিয়ানীবাজার, জেলা-সিলেট। পরবর্তীতে টহলদল আটককৃত যাত্রীসহ সিএনজিটিকে তল্লাশী করে আকটকৃত ব্যক্তির পরিহিত প্যান্টের পকেট হতে ০৩টি প্যাকেট, সিএনজির সীটের নীচ হতে ৪০ প্যাকেট এবং সিএনজির ইঞ্জিন কভারের ভিতর হতে ৩৮ প্যাকেটসহ সর্বমোট ৮১ টি নীল পলিথিনের প্যাকেট জব্দ করে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় উপস্থিত ব্যক্তিদের সম্মুখে প্যাকেটগুলো খোলা হলে উক্ত প্যাকেটগুলোতে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ইয়াবা ট্যাবেলট গণনা করে ৯৩৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আনুমানিক ৩০ লক্ষাধিক টাকার প্রায় ১০ হাজার ইয়াবা অবৈধভাবে বহনকারী সিএনজি ও আটককৃত আসামীকে বিজিবির হেফাজতে নেয়া হয়।
আটককৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সে দীর্ঘ দিন যাবৎ ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত। এ ছাড়াও তার ব্যাপারে তথ্য নিয়ে জানা যায় তিনি এবং তার ভাই পলাতক মোঃ আলম হোসেন (৫০) ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে বিপুল অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন এবং তারা এলাকায় ইয়াবা সম্রাট/ডন হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও আরও জানা যায় তারা বিয়ানীবাজার উপজেলার মাদক সম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত। উল্লেখ্য, পলাতক আসামী আব্দুস সামাদ এবং আব্দুস সালাম এর বিষয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায় তারা দুই জন ভারতের গুপ্তচর হয়ে বিএসএফ এর নিকট তথ্য পাচার করে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এর অধিনায়ক বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় মাদকের প্রবাহ রোধে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমাদের নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বিজিবি সীমান্ত পাহারার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে, যাতে করে সীমান্তে বিজিবি জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে থাকতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষের সহযোগীতাকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করি এবং সবাইকে আহ্বান জানাই, মাদক চোরাচালান বা অন্য যে কোন অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা দ্রুত বিজিবিকে অবহিত করতে।
বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ সকল প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিজিবির এই কার্যক্রম সীমান্ত নিরাপত্তা এবং দেশের মাদকবিরোধী সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
বিষয়: #অভিযানে #আটক #আসলাম #ইয়াবা #বিজিবি'র #বিশেষ #মাদকসম্রাট #সহ #১০ হাজার
