

সোমবার ● ৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রবাসে » তিন বাংলাদেশি পেলেন টপ ফিফটি এশিয়ান অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড
তিন বাংলাদেশি পেলেন টপ ফিফটি এশিয়ান অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড
বজ্রকণ্ঠ ডেস্ক::
মালয়েশিয়ায় তিন বাংলাদেশি পেয়েছেন টপ ফিফটি এশিয়ান অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ডস। কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানে স্বীকৃতি দেওয়া হয় তিন বাংলাদেশিকে। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানী কুয়ালালামপুরের মাই টাওয়ার হোটেলের বলরোমে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে, টপ ফিফটি অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড তাদের হাতে তুলে দেন এশিয়ান অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের আয়োজকরা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ১১টি দেশের মনোনীতদেরও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্ব-স্ব অবদানে দেওয়া হয় অ্যাওয়ার্ড।
এক্সিলেন্স ইন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম আহসানুল হক, আউটস্ট্যান্ডিং একাডেমিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, কুয়ালালামপুরের পেরদানা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হাসান মাজিজ এবং এক্সিলেন্স ইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী সাংবাদিক আহমাদুল কবির।
প্রফেসর ড. এ কে এম আহসানুল হক আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে অনার্স ও মাস্টার্স এবং ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি, কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। তার প্রকাশিত গবেষণা ও কনফারেন্স পেপারের সংখ্যা প্রায় ৩৫০ এবং তিনি বহু আন্তর্জাতিক রেফারেড জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডে রয়েছেন।
তিনি এমারল্ড লিটারেটি অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার তত্ত্বাবধানে ৩৯ জন পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। প্রফেসর হক বিশ্বব্যাংক, টেলিকম ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও পরামর্শমূলক প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভিজিটিং প্রফেসর, প্রধান বক্তা এবং কারিকুলাম মূল্যায়নকারীর দায়িত্ব পালন করেছেন। মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন শাখায় তার গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আজীবন সদস্য।
ড. নাজমুল মালয়েশিয়ায় ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে পেরদানা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনে সহযোগী অধ্যাপক এবং ডেপুটি ডিন হিসেবে মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি ও গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
তিন বাংলাদেশি পেলেন টপ ফিফটি এশিয়ান অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ডআউটস্ট্যান্ডিং একাডেমিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড পেলেন, কুয়ালালামপুরের পেরদানা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হাসান মাজিজ। ছবি/ সংগৃহীত
ড. নাজমুল বিভিন্ন মেডিকেল প্রোগ্রাম যেমন এমডি, এমবিবিএস, বিডিএস, বিবিএমএস, এমএসসি পাবলিক হেলথ, পিএইচডি প্রোগ্রামের শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি পেরদানা ইউনিভার্সিটির এডুকেশন পলিসি ও কারিকুলাম কমিটির প্রধান এবং ফেকাল্টি রিসার্চের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষকতা এবং গবেষণার জন্য তাকে এশিয়া এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন এবং মেডিকেল সায়েন্টিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন মেডিকেল প্রোগ্রামের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা, উন্নয়ন এবং মূল্যায়ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।
সাংবাদিক আহমাদুল কবির, দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি এবং বাংলা প্রেস ক্লাব মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার জগদল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং সিলেট সরকারি আলীয়া মাদরাসা ও মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন।
১৯৯১ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন দৈনিক সিলেট বাণী থেকে, এরপর তিনি দৈনিক সিলেটের ডাক, দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি জাতীয় দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন। পাশাপাশি অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ ও সিলেটের স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদেরও মালয়েশিয়া প্রতিনিধি তিনি।
তিনি মালয়েশিয়ায় সাংবাদিকতা পেশায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন এবং প্রবাসী সাংবাদিক ও প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। আহমাদুল কবিরকে বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে, যেমন ২০১৯ সালে রাষ্ট্রদূত মুহ. শহিদুল ইসলামের হাত থেকে সম্মাননা, ২০১৯ সালে সেন্টারফর এনআরবি অ্যাওয়ার্ড, ২০২১ সালে মালয়েশিয়ার শরিয়া কোর্টের প্রধান বিচারপতির বর্তমান ধর্মমন্ত্রী ড. হাজী মোহাম্মদ নায়িম বিন মোক্তারের হাত থেকে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২২ সালে তানশ্রী ড. সৈয়দ হামিদ আলবারের হাত থেকে রেড লাইভ-জ্যাশ এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড। ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। আর এ সম্মাননা তার হাতে তুলে দেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। সর্বশেষ, ২০২৪ সালে তিনি ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
বিষয়: #অ্যাওয়ার্ড #অ্যাচিভার্স #এশিয়ান #টপ #তিন #পেলেন #ফিফটি #বাংলাদেশি
